ছবি : ফাইল ছবি
ঢাকা : ভারতীয় হাইকমিশনের সহযোগিতায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দিনব্যাপি আর্টক্যাম্প ‘ভারত@বাংলাদেশ ২.০’ সোমবার শেষ হয়েছে। সমাপনী আয়োজনে ভারতের হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা অতিথি হিসাবে ক্যাম্পের পুরস্কারপ্রাপ্তদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে হাই কমিশনার বলেন, ‘ভারতীয় হাই কমিশন সবসময়ই তরুণ মেধাবীদের উৎসাহিত করতে এবং দুই দেশের তরুণদের মধ্যে মৈত্রী ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার বন্ধনকে এগিয়ে নিতে আগ্রহী। আমাদের দুই দেশেরই জনসংখ্যার বিশাল অংশ তরুণ।’
তিনি বলেন, ‘এই লক্ষ্যে, আমরা ২০১৬ সালের আগস্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ভারত@বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছরের প্রতিযোগিতার নামকরণ করা হয়েছে ‘ভারত@বাংলাদেশ ২.০’ এবং এ প্রচেষ্টা এগিয়ে নিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সেরা মনে করেছি।’
হাইকমিশনার বলেন, ‘গতবার, আমরা শুধু ঢাকা থেকে প্রতিযোগী পেলেও সবার আন্তরিক সাড়া পেয়ে এবারের প্রতিযোগিতায় সারা বাংলাদেশ থেকে প্রতিযোগীদের আমন্ত্রণ জানাতে অনুপ্রাণিত হয়েছি। ময়মনসিং, চট্টগ্রাম, খুলনা, নারায়ণগঞ্জ এবং রাজশাহীসহ সারা দেশের ১১টি প্রধান প্রতিষ্ঠান থেকে নির্বাচিত ৫০ জন প্রতিযোগী এই অত্যন্ত সফল এবং উৎসবমুখর ইভেন্টে অংশ নিয়েছে দেখে আমি খুশি হয়েছি।এই উৎসব আমাদের চিরন্তন বন্ধুত্বের বর্ণিল সাক্ষ্য।’
শ্রিংলা বলেন, ‘অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনা করার সময়, আমরা ভেবেছিলাম যে প্রতিযোগীদের আমরা নির্বাচনের জন্য ভারত ও বাংলাদেশের প্রকৃত রূপের প্রতিফলন করে এবং আমাদের দুই মহান দেশের শক্তিশালী সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক বন্ধন প্রকাশ করে এমন কিছু বিষয় দেব। বিষয়গুলো ছিল: ‘‘ভারত@৭০- গত ৭০ বছরে ভারতের উন্নতি’’, ‘‘স্বাধীনতা যুদ্ধে বন্ধুত্বের বিজয়’’, ‘‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’’, এবং সবার উপরে ‘‘মৈত্রী’’। এর উদ্দেশ্য ছিল ভারত ও বাংলাদেশের বিশেষ বন্ধন এবং অসাধারণ সম্পর্ক নিয়ে একজন তরুণ শিল্পীর ভাবনা এবং এই ভাবনাকে তুলির আঁচড়ে কীভাবে জীবন্ত রূপ দেয় সেটি আবিষ্কার করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি অবশ্যই বলব প্রতিযোগীদের দারুণ সব সৃষ্টি আমাদের সকল প্রত্যাশা অতিক্রম করে গেছে। সবাইকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন। আপনারা সবাই বিজয়ী!! আমি প্রত্যাশা করি আপনারা এই বিশেষ কাজ অব্যাহত রাখবেন এবং আপনাদের দক্ষতা আমাদের অসাধারণ বন্ধুত্ব এবং সংহতি যা আমাদের সম্পর্কের পরিচায়ক তা প্রচারে ব্যবহার করবেন।’
সমাপনী আয়ো্জনে জাহাঙ্গীর নগর উচ্চবিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম, চিত্রশিল্পী বরেণ্য শিল্পী রফিকুন নবী এবং অধ্যাপক আব্দুল মান্নান নাজিয়া আন্দালিব প্রিমা, সহ বিচারকমণ্ডলী এবং প্রতিযোগীবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা পুরষ্কারপ্রাপ্তদের মাঝে পুরষ্কার প্রদান করেন।
বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশেষায়িত শিল্পকলা প্রতিষ্ঠান থেকে মনোনীত ৫০ জন শিল্পী এ ক্যাম্পে অংশ নেন। আর্ট ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারীরা ‘ভারত@৭০: গত ৭০ বছরে ভারতের উন্নতি’, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধে বন্ধুত্বের বিজয়’, ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’, এবং ‘মৈত্রী’ এই ৪টি বিষয় থেকে উপবিষয় নির্বাচন করে চিত্র নির্মাণের সুযোগ পান শিল্পীরা।