বরিশাল : বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ভাবীর শ্লীলতাহানি করে ধর্ষণের চেষ্টা মামলায় দেবরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলা প্রত্যাহারের জন্য স্থানীয় প্রভাবশালীদের অব্যাহত চাপের মুখে ওই গৃহবধূ বর্তমানে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। মামলা প্রত্যাহারের অব্যাহত চাপে ওই নির্যাতিতা গৃহবধূ চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খান মো. আব্দুল হক এজাহারের বরাত দিয়ে জানান, উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের নাঘিরপাড় গ্রামের পরিমল ঘরামী চাকুরীর সুবাদে ঢাকা থাকায় তার স্ত্রী পুষ্প রানী (৩২) ছয় ও দু’বছরের দু’টি শিশু কন্যা নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন।
স্বামীর অনুপস্থিতিতে একই বাড়ির লালমোহন ঘরামীর ছেলে দেবর বিধান ঘরামী (৪০) প্রায়ই পুত্র কে বিভিন্ন প্রলোভনের মাধ্যমে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তার কুপ্রস্তাবে পুষ্প সাড়া না দেয়ায় রোববার দুপুরে পুষ্পকে একা ঘরে পেয়ে বিধান ওই গৃহবধূর শ্লীলতাহানি ঘটিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
ডাকচিৎকারে পাশের ঘরের বিবেক ঘরামীর স্ত্রী উষা রানী এগিয়ে এসে পুষ্পপকে উদ্ধার করে। এঘটনায় রোববার রাতে নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে বিধানকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খান মো. আব্দুল হক রাতেই অভিযুক্ত বিধান ঘরামীকে গ্রেপ্তার করেন।
এদিকে, বিধান গ্রেপ্তারের পর আওয়ামীলীগ নেতা এআর ফারুক বক্তিয়ার ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা স্বপন বৈদ্যসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা বাদীকে মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করে। তাদের অব্যাহত চাপের মুখে নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ স্বামীর বাড়ি ছেড়ে সন্তানদের নিয়ে বর্তমানে বাবার বাড়ি উজিরপুর উপজেলার কারফা গ্রামে অবস্থান করছে। গ্রেপ্তারকৃত বিধানকে সোমবার সকালে বরিশাল আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বহুমাত্রিক.কম