বগুড়া : ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী একটি কোচে যাত্রীবেশে ডাকাতি করা হয়েছে। রোববার জানা যায়, শনিবার রাত দেড়টার দিকে ৬-৭ জনের একটি ডাকাত দল বগুড়ার শাজাহানপুর থেকে ডাকাতি শুরু করে। শেষে তারা শেরপুরের মির্জাপুরের রাজাপুর এলাকায় নেমে যায়।
এসময় একজন ভারতীয়সহ ২১ যাত্রী এবং চালক ও সুপারভাইজারকে মারধর করে নগদ টাকা, সোনার গহনা ও মোবাইল ফোনসহ চার লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে। রবিবার দুপুরে এ খবর পাঠানো পর্যন্ত মামলা হয়নি।
কোচের সুপারভাইজার রেজা বলেন, ‘শ্যামলী পরিবহনের এই কোচ (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-১২৮২) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি থেকে ঢাকার দিকে রওনা হয়। লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর পেরিয়ে কোচটি ঢাকায় ফিরছিল। পথে ৫-৬ জনের ডাকাত দল যাত্রীবেশে কোচে ওঠে। তারা ঢাকায় যাওয়ার জন্য বুড়িমারীর শ্যামলী কাউন্টার থেকে টিকেট সংগ্রহ করেছিল। স্থলবন্দর ছেড়ে আসার সময় কোচে নারী-পুরুষ মিলে ৩০ জন যাত্রী ছিল। এরমধ্যে ২১ জন ছিলেন ভারতের শিলিগুড়ি থেকে আসা পাসপোর্টধারী যাত্রী। তাদের মধ্যে মনসুর হোসেন (৩৫) নামে একজন ভারতীয় নাগরিকও ছিল।’
তিনি বলেন, ‘ডাকাতরা ধারালো অস্ত্র ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে ১৫ যাত্রীর কাছে থেকে মোবাইল ফোন, নারীদের কাছে থেকে সোনার গহনা ও যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ প্রায় ২ লাখ টাকাসহ চার লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে।’
চালক সেলিম জানান, কোচটি বগুড়ার শাজাহানপুরের মাঝিরা সেনানিবাস পার হওয়ার পর তিন ডাকাত পেছন থেকে এসে তার গলায় ছোরা ধরে তাকে সরিয়ে দেয়। পরে তাদের একজন চালকের আসনে বসে কোচ চালায় এবং কোচের সব লাইট বন্ধ করে দেয়। ডাকাতি শেষে তারা বগুড়ার শেরপুরের মির্জাপুরের রাজাপুর এলাকায় একটি ইটখোলার কাছে এসে লুণ্ঠিত মালামাল নিয়ে নেমে যায়। পরে কোচটি গন্তব্যে পৌঁছে।
বগুড়ার শেরপুর থানার ওসি (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম ডাকাতির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ডাকাতদের হাতে রুটি তৈরির বেলুন ছিল। সেটা দিয়ে মারধর করে ও ভয় দেখিয়ে প্রায় লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। রবিবার বেলা ১টা পর্যন্ত মামলা হয়নি। তবে তদন্ত চলছে।’
বহুমাত্রিক.কম