ছবি : বহুমাত্রিক.কম
বগুড়া : বগুড়া সহ দেশের উত্তর জনপদে সারাদিনেও দেখা মিলছেনা সূর্যের। এতটুকু সূর্যের তাপের আশায় বাকুলতা যেন সবারই।
ঘন কুয়াশা আর শৈত্য প্রবাহে হাড় কাপানো কনকনে শীতে কাবু হয়ে পড়েছে বগুড়া সহ উত্তরের জনপদ। ফলে চলমান এই শীতের দাপটে “মাঘের শীতে বাঘে কাঁদে” বাঙ্গালী জীবনের এ চিরন্তন প্রবাদেরই যেন অবতারনা হয়েছে।
রোববার এ এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
কনকনে ঠান্ডায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে শ্রমজীবী-হত দরিদ্র ও ছিন্নমুল মানুষ।
বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষের দূর্দশা চরমে। ঠান্ডার কারণে ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না অনেকেই। তীব্র শীতের প্রকোপে দেখা দিয়েছে নানা রোগ। হাসপাতালে বেড়ে চলেছে শিশু ও বয়স্ক রোগী সংখ্যা।
শুধু তাই নয়, ঘন কুয়াশায় নষ্ট হচ্ছে বোরো বীজতলা ও আগাম জাতের আলুসহ বিভিন্ন ফসল। এ নিয়ে কৃষকরা পড়েছেন বিপাকে। আবার শীত বস্ত্রের অভাবে সীমাহীন কষ্টে দিনাতিপাত করছে গরীব সাধারন মানুষ। ছেঁড়া ছালা-বস্তাা প্যাচিয়ে কেউ কেউ রাত কাটাচ্ছে। অনেকেই আবার খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও রাস্তায় যানবাহন চালাতে হচ্ছে হেড লাইট জ্বালিয়ে। ট্রেন চলছে হেড লাইট জ্বালিয়ে এবং ধীর গতিতে। তীব্র শীতে রেলস্টেশন, ফুটপাত ও বিভিন্ন খোলা স্থানে আশ্রয় নেওয়া ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। শীতের দাপটে শহরের ফুটপাত ও হকার্স মার্কেট সহ বিভিন্ন মার্কেটে শীতবস্ত্র বিক্রির হিড়িক পড়েছে।
শীতের দাপটে মানুষের দৈনন্দিন চলাফেরা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে কাজকর্ম। শুধু শীতের কষ্ট নয় উপার্জনের অভাবে অনেকটা অনাহারে অর্ধাহারে কাটছে তাদের বেশীরভাগ দিন। শীতের দাপট এতটাই প্রকট যে দিনের বেলাতেও কর্ম বিমুখ হয়ে আগুন পোহাতে হচ্ছে অনেককে।
সার্বিকভাবে বলাযায়, গত কয়েক দিনের প্রচন্ড শীতে এ এলাকার মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
বহুমাত্রিক.কম