ঢাকা : বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (BLAST) এবং ব্র্যাক জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অফ পাবলিক হেলথ, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির আয়োজনে ও আরএফএসইউ-এর পৃষ্ঠপোষকতায় বৃহস্পতিবার থেকে ধানমন্ডির দৃক গ্যালারিতে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী ‘আমার জীবন, আমার অধিকার’।
গত ২০ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর অনলাইনে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এই প্রদর্শনীর জন্য ছবি আহবান করা হয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ১৪-৩০ বছর বয়সী প্রায় ১৫০ আলোকচিত্রীর পাঠানো ছবি থেকে বাছাই করা ২৩জন আলোকচিত্রীর ২৪টি একক ছবি এবং ১টি গল্পছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে এই প্রদর্শনী। ২৩ নভেম্বর বিকেল ৫টায় দৃক গ্যালারিতে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন এবং পুরষ্কার ঘোষণা ও বিতরণের আয়োজন করা হয়।
এই আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনীর মূল উপাত্ত, মানুষ হিসাবে ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনে সিদ্ধান্ত ও পছন্দের মূল্যায়ন। তরুণদের মাঝে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ এবং স্বাধীনতা যেমন বাড়ছে, তেমনি বাল্য বিবাহ, পারিবারিক সহিংসতা, অনলাইনে সাইবার অপরাধমূলক কর্মকান্ড, যৌন হয়রানি, বাক স্বাধীনতায় বিধিনিষেধ তাদের জীবনের বাধা হয়েও দাঁড়াচ্ছে ক্রমশ। এই প্রদর্শনীর মূল উদ্দেশ্য প্রতিটি ব্যক্তিকে নিজের জীবন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা সম্পর্কে সচেতন করা। এবং এটিকে একটি সামাজিক সচেতনতার বিষয় হিসাবে তুলে ধরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী ড. হামিদা হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন মানবাধিকারকর্মী এবং ‘নিজেরা করি’ সংগঠনের সমন্বয়ক ও এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর বিচারক প্যানেলের সদস্য খুশি কবির এবং বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (BLAST)-এর ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এডভোকেট জেড আই খান পান্না। এ সময়ে মঞ্চে আর বক্তব্য রাখেন প্রতিযোগিতার সদস্য প্যানেলের সদস্য আলোকচিত্রী হাসান সাইফুদ্দিন চন্দন, আবীর আবদুল্লাহ এবং তাসলিমা আক্তার।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের শুরুতেই এই প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনীর বিষয়বস্তু সম্পর্কে এবং মঞ্চে অতিথিদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (BLAST)-এর কর্মী ব্যারিস্টার ফারিয়া আহমেদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আলোকচিত্রী এবং এই আয়োজনে সার্বিক সহায়তায় দায়িত্ব পালনকারী মুনিরা মোরশেদ মুননী।
‘আমার জীবন, আমার অধিকার’ শিরোনামে আলোকচিত্র প্রদর্শনী কিউরেট করার দায়িত্বে ছিলেন আলোকচিত্রী এবং কিউরেটর আবীর আবদুল্লাহ। এই আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার বিজয়ী ঢাকার মৌ আক্তার সুরভি, প্রথম রানার-আপ ঠাকুরগাঁওয়ের আলোকচিত্রী জ্যেতির্ময় দেব, দ্বিতীয় রানার-আপ সিলেটের আলোকচিত্রী আইমান নাকিব এবং সেরা গল্পছবির আলোকচিত্রী যুথিকা দেউরিকে (ওরফে গায়ত্রী অরুণ) যথাক্রমে ২৫০০০ টাকা, ১৫০০০ টাকা এবং ১০০০০ টাকা দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়; সঙ্গে ছিল ক্রেস্ট এবং সনদপত্র। এছাড়া, প্রদর্শনীর বাকি আলোকচিত্রীদেরকেও অংশগ্রহণের সম্মাননাস্বরূপ সনদপত্র দেওয়া হয়।
প্রদর্শনী আগামী ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।