ঢাকা : জমকালো আয়োজনে জাকার্তায় হয়ে গেলো এশিয়ান গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহ্য ও জাতিগত ইতিহাস নিয়ে নানা পরিবেশনায় মুখরিত হয়ে ছিলো গোটা স্টেডিয়াম।
করতালি আর আঁতশবাজির মধ্য দিয়ে বরণ করে নেয়া হয় ৪৫টি দেশের অ্যাথলিটদের। এবারের আসরে বাংলাদেশের পতাকা বহন করেছেন ভারোত্তলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত।
স্তাদিও গ্লোরা বুকার্নোতে `বাংলাদেশ` নাম ঘোষণার পর গুটিগুটি পায়ে লাল সবুজের পতাকা তুলে ধরে, মার্চ পাস্টে মাবিয়া৷ পেছনে ১১৭ অ্যাথলিট আর ৩১ কর্মকর্তা৷ হাততালিতে প্রকম্পিত গোটা স্টেডিয়াম৷ শুধু বাংলাদেশ-ই নয় একই দৃশ্য দেখা গেছে, ৪৫টি দেশের সবার ক্ষেত্রে৷ ৫৬ বছর পর জাকার্তা এশিয়াড৷ তাইতো জাঁকজমক কিংবা জৌলুসে, সবাইকে ছাড়িয়ে যেতে চেয়েছে দেশটি৷
চমকের শুরুটা দেশটির রাষ্ট্রপতি জোকো উইদোদোর চোখধাঁধানো মটর সাইকেলের স্ট্যান্ডের মধ্য দিয়ে৷ এরপর ইউনেস্কোর ঐতিহ্য ঘোষিত `সামান` তালে, ১৫ হাজার নৃত্যশিল্পীর ১৫ মিনিটের ভুবন ভোলানো নাচ৷
অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মার্চপাস্টের মধ্যে সবাইকে আবেগি করেছে, এক পতাকায় দুই-কোরিয়া৷ সঙ্গে স্বাগতিক দলের ৯৫১ অ্যাথলিট পুরো দেশকে বেধেছে এক সূতোয়৷ স্থান পেয়েছে ডাচদের বিপক্ষে শত বছরের লড়াইয়ের ইতিহাস৷
উঠে আসে ইন্দোনেশিয়া হাজার বছরের ঐতিহ্য৷ যার শুরুটা পৃথিবীর প্রাচীনতম জাভা মানবের মধ্য দিয়ে৷ উঠে আসে শত আগ্নেয়গিরি, হাজার ঝর্ণা আর দেশটির সাগর তলের হাজারো প্রাণির গল্প৷ যেন পরতে পরে ছড়ানো রোমাঞ্চ আর কোন এক মায়াবী রাজ্য৷ যে রেশ মাতাল করে রাখে পুরো ৪ ঘন্টা৷ আর অনুষ্ঠান শেষ হয় রঙ্গিন আলোকছটার সঙ্গে মনোমুগ্ধকর লেজার শে`তে।
বহুমাত্রিক.কম