Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ২৪ ১৪৩১, বুধবার ০৮ মে ২০২৪

চিকিৎসকদের কাছে জাতির প্রত্যাশা

এস এম মুকুল

প্রকাশিত: ১৩:০৯, ১৩ অক্টোবর ২০১৬

আপডেট: ১৩:৩৮, ১৩ অক্টোবর ২০১৬

প্রিন্ট:

চিকিৎসকদের কাছে জাতির প্রত্যাশা

ঢাকা : চিকিৎসা একটি মহৎ ও মানবীয় পেশা। পৃথিবীতে তিনটি পেশাকে বলা হয় এ পেশাগুলোগুলো নিজের জন্য নয়, চিকিৎসা পেশা তারমধ্যে অন্যতম একটি। চিকিৎসক হবার স্বপ্ন নিয়ে এ পেশায় যারা আসেন সেবার মানসিকতা নিয়েই আসা উচিৎ-এমনটিই প্রত্যাশা।

মহান আল্লাহ্ তায়ালার এই সৃষ্টি জগতে মানবসেবার ক্ষেত্রে এরচেয়ে উত্তম, আদর্শ কোনো পেশা আছে কি। রোগীর কাছে একজন চিকিৎসক মহান প্রতিপালকের পরেই আস্থার প্রতীক- ভরাসাস্থল। দুঃখজনক হলেও সত্যি মহৎ এই পেশাদার হয়ে আমাদের মহান চিকিৎসকগণ মানবিক সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করছেন না। ঢালাওভাবে বলাটা ঠিক নয়, তবে মোটা দাগে বলা যায়-এ পেশার মহান মর্যাদা ধরে রাখতে পারছেন না দেশের চিকিৎসকরা।

গুটি কয়েক নয়, কিয়দংশও নয় অধিকাংশ চিকিৎসক হালের হাওয়ায় গা ভাসিয়ে অন্ধশিকারির ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়ে ছুরি, চাকু চালাচ্ছেন দুর্বল-অসহায় রোগীদের উপর। চিকিৎসকদের আদর্শহীন অপেশাদারিত্ব জনমনে ভীতির সঞ্চার করলেও থামছে না তাদের অর্থ উপার্জনের অতৃপ্ত বাসনা। তাহলে কি চিকৎসকরা মানি আর্নিং মেশিন বা টাকা কামানোর যন্ত্র-এমন প্রশ্নও আজ অবান্তর নয়।

আমার এই লেখায় মহান এ পেশার প্রতি সন্মান প্রদর্শন করেই বলছি- প্রিয় চিকিৎসকগণ সেবায় ব্রতী হোন, নির্দয় নয়- মানবীয় হোন, কেননা আপনার সামান্য সদিচ্ছায় নির্ভর করে জীবন থেকে মৃত্যুর পারাপার। আপনারা চাইলেই আর্থিক, মানসিক ও শারিরীক সুস্থ্যতায় ধন্য করে তুলতে পারেন একটি মানব জীবন।

সম্মানিত চিকিৎসকগণ আমার লেখায় যদি কোনোকারণে আহত হন- ক্ষেপে যাবেন না প্লিজ। আমিও মানুষ- শারিরীক সুস্থ্যতা-অসুস্থতা আপনার মতো আমারও হয়। আমিও আপনাদেরই কারো না কারো স্মরণাপন্ন হই। আল্লাহর রহমতে আপনাদেরই কারো সেবা পরামর্শে আরোগ্য লাভ করে ধন্য হতে চাই আমরা। পেশা নিয়ে কৌতুক করা শোভনীয় নয়- তবুও একটি প্রচলিত কৌতুক মনে পড়ে গেল। ’বিধাতাকে ক্ষেপাবেন না, তিনি ক্ষেপলে ডাক্তারের কাছে পাঠিয়ে পাঠিয়ে দেন। আর ডাক্তারকে ক্ষেপাবেন না, কারণ তিনি ক্ষেপলে সোজা বিধাতার কাছে পাঠিয়ে দেন।’

চিকিৎসকরাও মানুষ। তাদেরও জীবন সংসার, সমাজ-সামাজিকতা, স্বপ্ন ও উচ্চাকাংখা আছে। তাদের চাহিদা অবশ্য পূরণীয়, কিন্তু এখন জনমনে প্রশ্ন- একজন চিকিৎসকের কত টাকা চাই। টাকা কামানো জন্য চিকিৎসকরা হন্যে হয়ে ঘুরছেন। একজন চিকিৎসক দিনে কতজন রোগী দেখতে পারেন, কতজনই বা দেখা উচিত তার কি কোনো সীমা রেখা আছে? আমি একজন স্বনামখ্যাত বক্ষব্যাধি চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হলাম সত্তোরোর্ধ্ব আম্মাকে দেখাব বলে।

আমাদের সিরিয়াল নাম্বার ৮৪। দীর্ঘ অপেক্ষার সময় কাটছেনা। রোগী ঢুকছে আর বের হচ্ছে। আমি বসে হিসাব কষছি আজকের দিনে তাঁর আয় কত। ১০০ জন রোগী দেখলে ৮০০ টাকায় কত টাকা হয় যে কেউ সে হিসাব মিলাতে পারবেন। আমি অবশ্য তা মিলাতে চাচ্ছিনা। আমার হিসাব অন্যখানে একজন মানুষের পক্ষে ১০০ জন রোগি দেখা অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে। বসে ভাবছি তিনি নিজে কি সুস্থ্য আছেন? তিনি কি সঠিকভাবে রোগীর রোগ নিরুপণে নিজের মেধা, জ্ঞান আর সময়ের সঠিক ব্যবহার করতে পারছেন। রোগী ও স্বজনেরা কি তুষ্ট চিত্তে বাড়ী ফিরছেন। অনেক প্রশ্ন আমার মনে। আমরা ভিতরে প্রবেশ করলাম।

রোগীর আগের রিপোর্ট ও উপদেশপত্র আগিয়ে দিয়ে বর্ণনা দিচ্ছিলাম। মনে হচ্ছে তিনি শুনছেন না। রিপোর্ট নিয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি কিছুটা ক্ষেপেই গেলেন। আমি তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা হিসেবে বললাম- জনাব, আমরা তো রোগী, অসহায়, আমাদের কথাগুলো মন দিয়ে না শুনলে শান্তি পাবনা। আপনার মতো বিজ্ঞ চিকিৎসকরা শ্বান্তনা না দিলে, আশ্বাস না দিলে আমাদের হতাশা বাড়বে যে। তিনি স্বীকার করে নিলেন এত রোগীর চাপ তাঁকেও যেন অসুস্থ করে তুলছে। তিনি তিন দিন আগে করা টেস্টগুলো না দেখেই একগাদা টেস্ট করতে দিলেন। এমন অভিজ্ঞতা লাখো-কোটি মানুষের রয়েছে।
ঘটনার বাস্তবতা হলো- এদেশের যত বড় চিকিৎসক তাঁর পেছনে রোগীদের তত বড় লাইন। যদিও বড় ডাক্তার বলে কোনো শব্দ নেই- বিষয়টি হবে ভালো ডাক্তার। তবু আমাদের সমাজের ধারণা যে চিকিৎসকের ফিস বেশী, এফসিপিএস করা বা প্রফেসর হলেন বড় বা ভালো চিকিৎসক। বিষয়টির সাথে আমার দ্বিমত আছে। অভিজ্ঞতা সম্পন্ন নিষ্ঠাবানও সুচিকিৎসক হতে পারেন। সেটা ভিন্ন ব্যাপার আজকের আলোচনা চিকিৎসা পেশা ও চিকিৎসকদের নৈতিকতা নিয়ে।

চিকিৎসকরা সমাজের সভ্য মানুষ। মানুষের জীবন-মরণের সাথে তাদের পেশার সম্পর্ক। তাই চিকিৎসকের প্রতি রাষ্ট্র কিংবা জনগণ অবিচার করতে পারে না। তেমনি চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি দিয়ে রোগীদের জীবন নিয়ে তামাশা করবেন এটা মেনে নেয়া যায়না। এ বিষয়ে আইন থাকা উচিত- চিকিৎসা পেশায় কর্মবিরতি নয়, প্রতিবাদের আরো অনেক উপায় আছে। চিকিৎসকের কাছে সাধারণের প্রত্যাশা- তিনি মন দিয়ে রোগীর কথাগুলো শুনবেন, পরামর্শ এবং বেঁচে থাকার আশ্বাস দিবেন।

এইটুকু যদি চিকিৎসকের কাছে পাওয়া যেত তাহলে কচু কাটার মতো করে দেশে সিজারের নামে অযথা পেট কেটে নারীদের জীবনক্ষয় করা হতোনা। সুচিকিৎসার জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা আবশ্যক বিষয়। কিন্তু কমিশনের জন্যে চিকিৎসকগণ প্রয়োজনের বাইরেও অযথা অতিরিক্ত পরীক্ষা করিয়ে রোগীকে আর্থিক ও মানসিকভাবে আরো অসুস্থ্য করে তুলেন এর সত্যতার জন্যে কোনো প্রমাণ দিতে হবেনা। ভুল চিকিৎসা তো আছেই- ওষুধ কোম্পানির নজরানা পাবার জন্যে অতিরিক্ত ওষুধ এবং এন্টিবায়োটিক দিয়ে রোগীর বারোটা বাজাচ্ছেন। তারপরও একজন চিকিৎসক ও আমার পেশাগত পার্থক্য হলো- তিনি নিজের ভিজিট বা সন্মানী নিজে ঠিক করে দেন। আর আমারটা ঠিক করেন পত্রিকার মালিক-সম্পাদক মহোদয়।

চিকিৎসা ও চিকিৎসকদের অনৈতিকতা নিয়ে পরিচিত একজন চিকিৎসকের সাথে কথা বললে তিনি জানান- এ পেশা নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না, আমি লজ্জিত একজন চিকিৎসা সেবক হিসেবে। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, চিকিৎসকদেরকে এখন কসাইয়ের সাথে তুলনা করা হয়। আমরা জানি, বর্তমানে ওষুধের বাণিজ্য ভয়াবহ হয়ে উঠেছে চিকিৎসকদের ঘাড়ে সওয়ার হয়ে। চিকিৎসকের উপদেশপত্রে নাম না জানা কোম্পানির ওষুধ গ্রহণ করছেন রোগীরা।

এমন অভিযোগ মিথ্যে নয় যে, চিকিৎসকদের উৎসাহিত করা হয় প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর জন্য। এসবের প্রমাণ মেলে প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে চিকিৎসকের উপদেশপত্র স্ক্যান বা ফটোকপি করে রাখা হয়। চেম্বার থেকে বের হতেই ওষুধ প্রতিনিধিগণ ঘিরে ধরে উপদেশপত্রটি মোবাইল ক্যামেরায় বন্দী করে নেন। হায়রে জীবন নিয়ে বাণিজ্য আর কাকে বলে। এ বিষয়ে স্বনামখ্যাত কোম্পানির একজন প্রতিনিধির কাছে জানতে চাইলে তিনি বিস্ময়কর তথ্য জানান। তার অভিজ্ঞতায় হেন সুবিধা আদায়ে চিকিৎসকদের চক্ষুলজ্জা পর্যন্ত নাই।

ওষুধ কোম্পানি থেকে বিভিন্ন উপঢৌকন হিসেবে সাপ্তাহিক, মাসিক অথবা বার্ষিকভাবে আর্থিক সুবিধা ছাড়াও ফ্ল্যাটের মাসিক কিস্তি বা গাড়ির কিস্তি, গৃহস্থালির তৈজসপত্র, বিদেশযাত্রা, দেশের অভ্যন্তরে যাতায়াতে বিমান টিকেট থেকে শুরু করে পরিবারের সদস্যদের জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষ্যে উপহার হিসেবে আর্থিক সুবিধাও নিয়ে থাকেন। ওষুধ কোম্পানি থেকে প্রাপ্ত সেম্পল বিক্রি থেকে শুরু করে গেট টুগেদার নামে ভূরিভোজ সুবিধাও আদায়ও বাদ যায় না। চিকিৎসককে দেওয়া ওষুধ কোম্পানির লোভনীয় প্রস্তাব অবশ্যই বর্জনীয় হওয়া উচিত।

ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাভের চাপে এবং নিজের আকর্ষনীয় কমিশনের লোভে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে একগাদা পরীক্ষার অযথাই আর্থিক ব্যয়ভার চাপিয়ে দেন নিরীহ রোগীদের উপর। শোনা যায়, মনপূত আর্থিক আয় না হলে ছুরি-চাকু চালাতে অস্থির হয়ে উঠেন একশ্রেণীর চিকিৎসক। যেভাবেই হোকনা কেন অর্থ কামাই করতেই হবে। তাহলে চিকিৎসকদের অমানবিক বা নির্দয় বলাই যেতে পারে বলে মত দিলেন জনৈক ওষুধ প্রতিনিধি। তার মতে- চিকিৎসকেরা এখন পুলিশের চেয়েও খারাপ পর্যায়ে চলে গেছেন। তার ভাষায় পুলিশ তো টাকা খেয়ে কমবেশি কাজ করে, চিকিৎসকেরা আড়াল হলে তাও করেন না। বাহ্ মহৎ পেশার মহান কারিগর- এই তব আপনার পরিচয়। আপনার হাতে সপে দেয়া জীবনেরও আছে সংশয়!

রোগ নির্ণয়ে বা নিরাময়ে একজন চিকিৎসকের কি করা উচিত সে ব্যাপারে চিকিৎসা শাস্ত্রে বেশ কিছু নির্দেশনা দেয়া আছে। রোগীদের প্রত্যাশা রোগীর সমস্যা শোনা, প্রশ্ন করা- বলতে দেয়া, শারিরীকভাবে দেখা বা পর্যবেক্ষণ করা এবং শেষে উপদেশপত্র দেয়া। কিন্তু একজন অসহায় রোগী কি অন্যায্য ফিস দিয়েও ন্যায্য সেবাটুকু পাচ্ছেন- এমন প্রশ্ন হয়ত প্রশ্নই থেকে যাবে। চিকিৎসক রোগীর কাছে ফেরেশতার মতো। অসুস্থ হলে বিধাতার পরই তাঁর ওপর ভরসা। তবে কি ভরসার খেসারত দিচ্ছে রোগীরা। চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্রত্যেক সমস্যারই নির্দিষ্ট বর্ণনা আছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে ‘ডায়াগনোসিস’ অনেকটা গোয়েন্দাগিরির মত। একজন অবসরপ্রাপ্ত সচিব জানালেন- পায়ের গোড়ালির সমস্যায় দেশের বড় বড় চিকিৎসকদের বাকসোভরা ওষুধ আর টেস্ট শেষে সিঙ্গাপুরে অন্য কাজে গেলে সেখানকার চিকিৎসক একটি ব্যায়াম শিখিয়ে দিলে তাতেই তিনি সেরে উঠেন।

পরে তিনি নাকি সেই বড় চিকিৎসকদের গিয়ে বলে আসেন- আপনারা একটু পড়াশুনা করেন প্লিজ। এমন কথা একজন সচিব বলেই হয়তোবা বলতে পেরেছেন- আমি আপনি হলে কি সম্ভব? চিকিৎসার মতো সেবাধর্মী মহৎ পেশায় নিয়োজিতদের কাছে মানবিক আচরণই সাধারণের প্রত্যাশা। কিন্তু আমরা বেদনাহত হই যখন দেখি- হাসপাতালে অসুখে রোগী কাতরাচ্ছে আর চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। আগেও বলেছি চিকিৎসকরাও মানুষ, তাদের উপর অন্যায় বা জুলুম হলে তড়িৎ যথাযুক্ত ব্যবস্থারও দাবি জানাই। তবু এমন আন্দোলন চাইনা। চিকিৎসায় নৈরাজ্য নিয়ে আরো একটি লেখা লিখব। তবে বলে রাখি দেশে অসাধু, অর্থলোভী চিকিৎসকের যেমন অন্ত নেই- তেমনি ভালো, অমায়িক, মানবদরদী চিকিৎসকেরাও নিভৃতে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। চিকিৎসকদের নিয়ে অনেক নেতিবাচক সত্য কথা বলার শেষে একটি গল্প শুনিয়ে শেষ করবো লেখাটি।

একজন ডাক্তার একটি জরুরী সার্জারির জন্য তাড়াহুড়া করে আর এক ডাক্তারকে হাসপাতালে ডেকে পাঠালে তিনি তড়িৎ গতিতে হাসপাতালে পৌঁছে গেলেন। হাসপাতালে ঢুকেই তিনি নিজে দ্রুত প্রস্তুত হয়ে সার্জারির অপারেশন থিয়েটারের দিকে এগিয়ে গিয়ে দেখলেন রোগীর ( একটি ছোট্ট ছেলে ) বাবা অস্থির হয়ে পায়চারি করছেন। ডাক্তারকে দেখামাত্র লোকটি উত্তেজিত হয়ে বললেন- আপনার আসতে এত দেরি হল? দায়িত্ববোধ বলতে কিছু নেই আপনার ? আপনি জানেন আমার ছেলে কত যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে ?

ডাক্তার মুচকি হাসি হেসে বললেন- আমি দুঃখিত, আমি হাসপাতালে ছিলাম না, বাসা থেকে আসতে দেরি হলো। আপনি শান্ত হলে আমি অপারেশন শুরু করতে পারি। লোকটি রাগত স্বরে বললেন- শান্ত হব আমি? আপনার সন্তান যদি আজ এখানে থাকতো তবে বুঝতেন। ডাক্তার আবার হাসলেন আর বললেন- ডাক্তার কাউকে দীর্ঘ জীবন দান করতে পারেন না।

আপনি আপনার সন্তানের জন্য প্রার্থনা করতে থাকুন- আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো বলে ডাক্তার কক্ষে প্রবেশ করলেন। দুই ঘণ্টা পর হাসি মুখে ডাক্তার বের হয়ে বললেন- আলহামদুলিল্লাহ, অপারেশন সফল। বলে তিনি চলে গেলেন। লোকটি নার্সকে বললেন-ডাক্তারের এত ভাব কেন? নার্স কান্নারত কন্ঠে জানালেন- ডাক্তার সাহেবের ছেলে আজ সকালে মারা গেছেন তিনি আপনার ফোন পেয়ে ছেলের জানাজা থেকে উঠে এসেছেন! এখন আবার দৌড়ে চলে গেলেন- কবর দিতে।

এস এম মুকুল : বিশ্লেষক ও উন্নয়ন গবেষক

[email protected]  

বহুমাত্রিক.কম

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer