
ছবি-বহুমাত্রিক.কম
ঠাকুরগাঁও : অনেক আশা নিয়ে বেগুন চাষ করেছিলেন জেলার সদর উপজেলার আরাজী কৃষ্ণপুর গ্রামের চাষিরা। ভাগ্য বদলাতে গোল ও লম্বা বেগুন চাষ করেছিলেন সালান্দর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে কৃষকরাও।
তবে এখানকার শতাধিক কৃষকের ভাগ্যের চাকা উল্টো ঘুরে এখন কৃষকের কপালে হাত। লাভের বদলে গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত লোকসান।
শুধু ধান চাষের উপর নির্ভরশীল কৃষি জমিতে বেগুন চাষ এনে দিয়েছিল এক নতুন গতি। এখন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে দিগন্ত জুড়ে বেগুন ক্ষেতের সবুজের সমারোহ। আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় এবার বেগুনের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে বেগুনের পোকা ধরায় এখন গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত লোকসান।
উর্বর দো-আঁশ মাটির প্রাচুর্যের কারণে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামে ধানের চেয়ে রবিশস্য ও সবজি আবাদ বেশি হয়।
কৃষকদের জীবন-জীবিকার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে কৃষির এই সফল বিবর্তন। চাষি জালাল উদ্দিনের উৎপাদিত বেগুন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাচ্ছে। এ কারণে তিনি নিজেই এক জন আড়তদার।
রাজধানী ঢাকাসহ আশেপাশের উপজেলার বেগুন ব্যবসায়ীদের কাছে পৌছে যাচ্ছে এতদাঞ্চলের রবি শস্যের অন্যতম গোল ও লম্বা বেগুন।
জালাল উদ্দিন এর কাছে খরচের কথা জানতে চাইলে বলেন, আমার প্রতি একর জমিতে বেগুন চাষ করতে খরচ পড়ে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা।
এই ফলন বিক্রি করে বাজার দর অনুযায়ী প্রতি একর জমির বেগুন সাড়ে ৪ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে পারেন কৃষকরা।
বেগুন চাষী জালাল উদ্দিন জানান এইবার তার এক একর জমিতে সর্বসাকুল্যে খরচ হয়েছে প্রায় ৮০ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত তিনি বেগুন ক্ষেত থেকে বেগুন তুলে পাইকারের কাছে প্রায় ২০ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি করেছেন। ফলন অনুযায়ী বিক্রির কথা ছিল ৪ লাখ টাকার মত।
তিনি বলেন, গতকাল ৪০ মন বেগুন তুলে ১৩ মন ভাল বেগুন পাইছি, পোকা ধরায় সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
বহুমাত্রিক.কম