
ছবি-সংগৃহীত
ঢাকা : বিশ্ব পরিবেশ দিবসে অভিনব ভাবনা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হাওড়া পৌরসভার। ইউক্যালিপটাস ও নিমগাছের বিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে পৌরসভা চত্বরে। উদ্দেশ্য, মশার লার্ভা-নাশক বৃক্ষের সংখ্যা বৃদ্ধি করা। উলুধ্বনি দিয়ে শঙ্খ বাজিয়ে উপচার সাজিয়ে পুরোহিত ডেকে সেই বিয়ের অনুষ্ঠান হল। শুভদৃষ্টি থেকে শুরু করে মন্ত্রোচ্চারণ সবই হল বিয়ের রীতি মেনেই।
বর্ষায় জল জমে গাছের গোঁড়ায় মশা ডিম পাড়ে৷ আর তা থেকে বর্ষায় মশার উপদ্রব প্রচণ্ড পরিমাণে বেড়ে যায়৷ কিন্তু ইউক্যালিপটাস ও নিম গাছে কোনও মশা ডিম পাড়তে পাড়ে না তার ভেষজ গুণের জন্য৷ ডিম পাড়লেও তা নষ্ট হয়ে যায়৷
বর্ষায় লার্ভা-নাশক বৃক্ষের সংখ্যা বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যেই পৌরসভার তরফ থেকে নেওয়া হয়েছে এই মহান উদ্যোগ এতে মশার বংশবৃদ্ধি কমবে৷ ইউক্যালিপটাস ও নিমগাছ জীবাণুনাশক তাই এদেরকেই বেছে নেওয়া হয় এই মহান উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্যে৷ এদের মধ্যে নিমগাছকে পাত্র হিসেবে বাছা হয় ও ইউক্যালিপটাসকে কন্যা৷ এই নিম এবং ইউক্যালিপটাস গাছের জীবাণুনাশক গুণের কারণে মশককুল সেখানে বংশবৃদ্ধি করতে পারে না। এই কারণেই এই প্রতীকী বিয়ের আয়োজন করে হাওড়া পৌরসভার স্বাস্থ্য দফতর৷
এই বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়, হাওড়ার মেয়র ডা: রথীন চক্রবর্তী, স্বাস্থ্য দপ্তরের মেয়র পারিষদ ভাস্কর ভট্টাচার্যসহ পৌরসভার সব মেয়র পারিষদ ও কাউন্সিলাররা।
ভাস্কর-বাবু বলেন, ‘‘আমাদের এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য হল বৃক্ষরোপণ, বৃক্ষ-প্রজনন ও বৃক্ষ সংরক্ষণ। মশার লার্ভা মারার জন্যে আমরা লার্ভিসাইট অয়েল প্রয়োগ করে থাকি। এই সকল গাছ বসালে এর ভেষজ গুণের কারণে মশারা সেখানে বংশবৃদ্ধি করতে পারে না। আমাদের সঙ্গে কল্যাণীর আয়ুর্বেদিক ইন্সটিটিউটের কথা হয়েছে। ওই সংস্থা আমাদের নিম এবং ইউক্যালিপটাসের চারা সরবরাহ করবে। আমরা পুরসভার ৬৬ টি ওয়ার্ডে এক হাজার ওই গাছের চারা রোপণ করব।’’
তারা যেন তাদের এই উদ্দেশ্যে সফলতা পায় এই আশাতেই এখন বুক বাধছেন হাওড়া পুরসভার কর্মকর্তারা৷