Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

কার্তিক ১১ ১৪৩২, মঙ্গলবার ২৮ অক্টোবর ২০২৫

ক্ষুধার তাড়নায় যে গ্রামের সব নারীই নেমেছেন দেহব্যবসায়

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০২:৪১, ২৫ মে ২০১৬

আপডেট: ০০:০০, ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯

প্রিন্ট:

ক্ষুধার তাড়নায় যে গ্রামের সব নারীই নেমেছেন দেহব্যবসায়

ঢাকা : বছরের পর বছর ধরে খরা। ঘরে কোনও অন্নসংস্থান নেই। পেটে খিদের তাড়নায় অস্থির কোলের বাচ্চা দুটো। সংসারের ভার বইতে না পেরে স্বামী ছেড়ে চলে গেছে। দিন আনি দিন খাই জীবনে কোনওরকমে হয়তো একদিনে ৩০ থেকে ৪০ টাকা রোজগার হত! কিন্তু তাই দিয়ে কী আর চারটে পেট চলে?

অগত্যা পেটের জ্বালায় বেছে ওঁরা বেছে নিলেন দেহব্যবসাকে। ২টো বেশি টাকা এল ঘরে। লোকে নিন্দেমন্দ করল হয়তো! কিন্তু পেটের খিদে তো মিটল। দু`টো খেতে পেয়ে বাচ্চা দু`টো রাতের বেলা একটু ঘুমোল। করুণ এই ছবিটা ভারতেরই এক প্রত্যন্ত গ্রামের।

অন্ধ্রপ্রদেশের গ্রাম অনন্তপুর। নিয়তির ফেরে ও জঠরের জ্বালায় আজ এই গ্রামের প্রায় সব মহিলাই নাম লিখিয়েছেন দেহব্যবসায়। বিদ্যের অভাব, বৃষ্টির অভাব। কাঠফাটা রোদে টুঁটিফাটা মাটিতে কোনও ফসল জন্মায় না। শেষ সম্বল বলতে ছিল শুধু `গতরটুকু`। আর সেটা সম্বল করেই দুবেলা দুমুঠো ভাত জোগাড় করে চলেছেন তাঁরা। আর এই করে তাঁদের `অবস্থা`ও ফিরেছে।

স্থানীয় রমা দেবী বলে চলেন, "প্রথম প্রথম কষ্ট হত খুব। কিন্তু পেটের ছেলেটা যখন খিদেয় মরাকান্না কাঁদত, তখন বড় অসহায় লাগত। এখন আর কিছু মনে হয় না। অবস্থাও কিছুটা ফিরেছে। মাস গেলে এখন ৩০০০ টাকা করে রোজগার হয়।"

কিন্তু, মাঝে মাঝে `খদ্দেরদের` অত্যাচার মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। সমাজে রমা দেবীরা অপাংক্তেয়। যাঁদের জন্য এই জীবন বেছে নেওয়া, অনেকসময় সেই ছেলেমেয়েরাও ভুল বোঝে। কিন্ত, হুঁশ ফেরে না সরকারের। নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতির বন্যা ছোটে। কিন্তু, ভোট মিটতেই কেউ আর খোঁজ রাখে না তাঁদের। আঁচলের খুট দিয়ে চোখ মুখে আবার তাঁরা নেমে পড়েন তাঁদের `ব্যবসায়`....

Walton Refrigerator cables
Walton Refrigerator cables