পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ডাকা অবস্থান কর্মসূচি ব্যর্থ হওয়ার এক সপ্তাহ পর পদত্যাগ করলেন দলের পাঞ্জাব প্রদেশের প্রধান সাফকাত মেহমুদ। তিনি ‘স্বাস্থ্য সংক্রান্ত’ বিষয়কে পদত্যাগের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। খবর জিউ নিউজের।
ইসলামাবাদে দলের বলিষ্ঠ শক্তি প্রদর্শনে ব্যর্থ হওয়ায় পিটিআইয়ের পাঞ্জাবের নেতা সাফকাতের বিরুদ্ধে সমালোচনা চলে আসছিল। এ ব্যর্থতাকে শাহবাজ শরীফের নেতৃত্বাধীন সরকারের কাছে পিটিআইয়ের নৈতিক পরাজয় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সূত্র জানিয়েছে, দলের পাঞ্জাব প্রধানের অবর্তমানে এ দায়িত্ব সামলাবেন ভাইস-প্রেসিডেন্ট শাহ মেহমুদ কোরাইশি।
সাফকাত পিপিপি ক্ষমতায় থাকাকালে সেনেটর ছিলেন। পরে ২০১৩ সালে এমএনএ নির্বাচিত হন। দায়িত্বে ছিলেন ২০১৮ সাল পর্যন্ত। ২০১৩ সালে লাহোরে নির্বাচিত একমাত্র পিটিআই এমএনএ ছিলেন তিনি। তা সত্ত্বেও দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার যোগাযোগ নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে।
আজাদি মার্চের পর বুধবার সাবেক এ শিক্ষামন্ত্রীকে হাসপাতালে নেওয়ার হয় এবং অস্ত্রোপচার করা হয়। পরে ৩ জুন পাঞ্জাবে দলের শীর্ষ পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কারণে আমি আমার দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখতে পারছি না। আমাকে এ দায়িত্ব দেওয়ার জন্য দলের চেয়ারম্যানের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি সুস্থ হওয়ার পর কাজে ফিরব।
টুইটারে তিনি লেখেন, পিটিআইয়ের পাঞ্জাবের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি এবং এ সুযোগ দেওয়ার জন্য চেয়ারম্যান ইমরান খানের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমার অস্ত্রোপচার ও সুস্থতার জন্য পরিবর্তন জরুরি। আমি নতুন প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানাই এবং তিনি যেন প্রত্যাশামতো দায়িত্ব পালন করতে পারেন সে কামনা করি।
পাঞ্জাবে পিটিআইয়ের সামনে কঠিন লড়াই অপেক্ষা করছে। সেখানে খালি হওয়া ২০টি আসনের জন্য পিএমএল-এন এর বিরুদ্ধে লড়তে হবে ইমরানের দলকে। এদিকে পিটিআইয়ের পাঞ্জাবের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইজাজ চৌধুরী ও মিঁয়া মেহমুদুর রাশেদের নাম শোনা যাচ্ছে।