Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ১২ ১৪৩১, শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪

শেখ রাসেলের জন্মদিনে অশ্রুসিক্ত প্রধানমন্ত্রী

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮:২২, ১৮ অক্টোবর ২০১৯

আপডেট: ১৮:৩৯, ১৮ অক্টোবর ২০১৯

প্রিন্ট:

শেখ রাসেলের জন্মদিনে অশ্রুসিক্ত প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন বড় বোন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন তিনি।

শেখ রাসেলের ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে হয়তো দেশের জন্য অনেক কিছু করত। মাঝে মাঝে মনে হয় ৫৪ বছর বয়সে কেমন হতো দেখতে তাকে? বলতে বলতে অশ্রুসিক্ত চোখে থেমে যান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, রাসেলের জন্ম হয়েছিল ১৯৬৪ সালে। ঠিক যেই মুহূর্তে রাসেল জন্মায় তখন আব্বা তখন খুব ব্যস্ত। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, ফাতেমা জিন্নাহ প্রার্থী। তিনি সেই নির্বাচনে প্রচারণার কাজে চট্টগ্রামে ছিলেন। অত্যন্ত ব্যস্ত ছিলেন। রাসেলের জন্ম হওয়ার পর আমরা তাকে খবর দেই।

তিনি বলেন, আমরা চার ভাই-বোন উদ্বিগ্ন হয়ে বসে ছিলাম এই ছোট্ট শিশুটির জন্ম মুহূর্তটা এবং তারপর তাকে কোলে নেয়া। তাকে লালন-পালন করা তার পাশে থাকে। জাতির জনক ৬৭ সালে যখন কারাগারে গেলেন রাসেলের বয়স তখন ২ বছরও হয়নি। তখনই সে বাবার স্নেহ বঞ্চিত হলো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কারাগারে যেতাম আব্বার সঙ্গে দেখা করতে। রাসেল কিছুতেই আসতে চাইতো না। সে বাবাকে ছাড়া আসবে না। বাবাকে নিয়ে ঘরে ফিরবে। সেই সময় আমার বাবা বলতে বাধ্য হলেন, এটা আমার বাড়ি। আমি আমার বাড়িতে থাকি। তুমি তোমার মায়ের বাড়িতে যাও। তখনও সে ভালো করে কথাও বলতে পারে না। তারপরে সে প্রচণ্ড কান্নাকাটি করত। তাকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে নিয়ে আসতে হতো।

তিনি বলেন, যে দিন আমরা জেলখানায় দেখা করতে যেতাম সেই দিন সে খুব অস্থির থাকত। ঘুমাতে চাইতো না, খেতে চাইতো না। অনেক সময় মধ্য রাতে উঠে বসে থাকতো, আমাদের সবাইকে ডাকতো। আমরা সব ভাই-বোন গিয়ে তার কাছে বসতাম। সে কিছু বলতে পারছে না। সে তার মনের ব্যথাটা জানাতে পারছে না। কিন্তু তার বেদনাটা আমরা বুঝতে পারতাম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এভাবেই সে বড় হয়ে ওঠে। বাবাকে বাবা বলে ডাকা শুরু করে। কিন্তু আব্বা, আব্বা বলে যে ডাকবে। অনেক সময় আমার মাকে যখন সে আব্বা বলে ডাকতো, তখন বলতেন আমি তোমার আব্বা। আমাকে আব্বা বলে ডাকো। কারাগারে গিয়ে একবার সে আব্বার মুখের দিকে তাকাতো, আব্বা বলে ডাকতো। আবার মায়ের দিকে তাকাতো। তখন মা বলেছিলেন, ও যেহেতু আব্বা আব্বা বলে কান্নাকাটি করে তাই আমি বলেছি আমাকেই আব্বা ডাকতে।

তিনি বলেন, সেই জন্যই সে জেলখানায় গিয়ে একবার বাবার দিকে তাকায়, আরেকবার মায়ের দিকে তাকায়। একটা ছোট্ট শিশু পিতার স্নেহ বঞ্চিত। আমরা তো বঞ্চিত ছিলামই। কিন্তু এই ছোট বাচ্চাটাও।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন বড় বোন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

তিনি বলেন, সেই জন্যই সে জেলখানায় গিয়ে একবার বাবার দিকে তাকায়, আরেকবার মায়ের দিকে তাকায়। একটা ছোট্ট শিশু পিতার স্নেহ বঞ্চিত। আমরা তো বঞ্চিত ছিলামই। কিন্তু এই ছোট বাচ্চাটাও।

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer