ছবি- সংগৃহীত
ব্রুনাইয়ে মানব পাচারকারী চক্রের সহযোগী আমিনুর রহমান হিমুসহ তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩ এর সদস্যরা। বুধবার রাজধানীর কাফরুল থেকে হিমু এবং মহাখালীর ডিওএইচ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় হিমুর দেহ তল্লাশি করে লাইসেন্স করা একটি বিদেশি পিস্তল এবং দুটি ম্যাগাজিন পাওয়া যায়।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু গণমাধ্যমকে বলেন, হিমু ব্রুনাইয়ে চাকরি দেয়ার নাম করে ৪০০ জনের কাছ থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ২০১৯ সালে বিজনের কোম্পানির নামে ভুয়া ডিমান্ড লেটার সংগ্রহ করে হিমু ৬০ জনকে ব্রুনাইয়ে পাঠান। তারা ব্রুনাইয়ে গিয়ে কোনো কাজ না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করেন এবং নিজ খরচে দেশে ফিরে আসেন। তিনি আরও জানান, হিমুর নিজের কোনো রিক্রুটিং লাইসেন্স নেই। মেহেদীর চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে ব্রুনাইতে মানবপাচার করত। মেহেদীর নামে বাংলাদেশে ২০টি মামলা হয়েছে। বর্তমানে তিনি দেশে আত্মগোপন করে আছেন।
ব্রুনাইয়ে মানব পাচারের ঘটনায় অসংখ্য ভুক্তভোগী র্যাব-৩ কার্যালয়ে অভিযোগ করেছেন। তাদের অভিযোগ থেকে জানা যায়, ব্রুনাইয়ে মানব পাচারের মূল হোতা মেহেদী ও অপুর অন্যতম সহযোগী হিমু। দীর্ঘদিন তিনি দেশের বাইরে ছিলেন।
র্যাব জানায়, ব্রুনাইতে প্রায় ২৫ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছেন। তাদের একটি বড় অংশ মানব পাচারকারী চক্রের মাধ্যমে ব্রুনাইতে যান। সেখানে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ব্রুনাইতে বাংলাদেশি মালিকানার প্রায় ৩ হাজার কোম্পানি নিবন্ধিত। এগুলোর অধিকাংশই নামসর্বস্ব। এসব কোম্পানি ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে ব্রুনাই থেকে কর্মসংস্থান ভিসা বের করে। পরে দালালদের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভিসা বিক্রি করে। ব্রুনাইতে যাওয়ার জন্য এক লাখ ২০ হাজার টাকা ধার্য করা হলেও চক্রের সদস্যরা প্রায় ৩-৪ লাখ টাকা নিত। আইন অনুসারে ব্রুনাইতে একজন কর্মী সর্বোচ্চ দুই বছর অবস্থান করতে পারেন।