সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি তেরশ’ কোটি টাকার ৫টি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। বুধবার রাজধানীতে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ২৭তম এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৩৫তম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির সভায় অনুমোদিত ৫টি প্রস্তাবে ব্যয়ের পরিমাণ এক হাজার ৩০৪ কোটি ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ৬৫৩ টাকা। মোট এ অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ৩২৭ কোটি ১ লাখ ২৪ হাজার ৩৬৫ টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া হবে ৯৭৭ কোটি ১২ লাখ ১৩ হাজার ২৮৮ টাকা।
এসব প্রস্তাবের মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করর্পোরেশন থেকে ৮ম লটে ৫০ হাজার মেট্রিক টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার ৪১৪ কোটি ১৩ লাখ ১৪ হাজার ৩০০ টাকায় আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।
এছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটিড থেকে ৬ষ্ঠ লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১৮৮ কোটি ৯৩ লাখ ২০ হাজার ৬৪৪ টাকায় কেনা হবে।
একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশ থেকে ৯ম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১৮৫ কোটি ১২ লাখ ৫৭ হাজার ৭০০ টাকায় ক্রয় করা হবে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে কাতারের মুনতাজাত থেকে ১১তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১৮৮ কোটি ৯৩ লাখ ২০ হাজার ৬৪৪ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এছাড়া অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের অধীনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বিভিন্ন কাস্টম হাউস ও দফতরের জন্য ৬টি পূর্ণাঙ্গ কনটেইনার স্ক্যানার সিস্টেম নুকটেক কোম্পানি লিমিটেড থেকে কিনতে ব্যয় করা হবে ৩২৭ কোটি ১ লাখ ২৪ হাজার ৩৬৫ টাকা।
এদিকে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র সভায় ২টি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এর মধ্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ জুট কর্পোরেশনের (বিলুপ্ত) নওগাঁ জেলা সদরে ০.৯২৩৭ একর সম্পত্তি ৩১ লাখ ২০ হাজার ১ টাকায় মেসার্স মীর অ্যান্ড কোম্পানির মালিক মীর আল মামুন-এর কাছে বিক্রি ও রেজিস্ট্রেশন সম্পাদন বিষয়ে পুনর্বিবেচনার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়।
এছাড়া বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ‘সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উন্নয়ন’ প্রকল্পের অতিরিক্ত কাজের ড্রইং এবং ডিজাইনের জন্য একক উৎসভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান জয়েন্ট ভেনচার অব (১) ইয়ুশেন এবং (২) কেরিয়ার হেরিম কে নিয়োগের অনুমোদন দেয়া হয়।