ঢাকা: পৃথিবীর ফুসফুস খ্যাত বন আমাজনেরসুরক্ষায় বৈঠকে বসছে লাতিন আমেরিকার দেশগুলো। আগামী সপ্তাহেই দেশগুলোর নেতারা বসবেন বলে নিশ্চিত করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেয়ার বোলসোনারো। তিনি বলেন, ভেনেজুয়েলা ছাড়া অ্যামাজন অঞ্চলের সবগুলো দেশই আগামী ৬ সেপ্টেম্বর বৈঠকে বসবেন।
১৫ আগস্ট থেকে জ্বলছে ব্রাজিলের অ্যামাজন জঙ্গল। এরমধ্যেই গত বৃহস্পতি থেকে শুক্রবারের মধ্যে নতুন করে অ্যামাজনের এক হাজার ২০০টি স্থানে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। নতুন করে আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর কেন্দ্রীয় সরকারের শরণাপন্ন হয়েছে ছয়টি রাজ্য। বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ রকমের আগুনের কুণ্ডলী তৈরি হয়েছে। এসব রাজ্যের কর্তৃপক্ষ আগুন নিয়ন্ত্রণে সামরিক বাহিনীর সহায়তা চাইছে। সেনা সহায়তা চাওয়া রাজ্যগুলো হচ্ছে পারা, রন্ডোনিয়া, রোরাইমা, টোকানটিন্স, একর এবং ম্যাটো গ্রোসো। এরমধ্যে রন্ডোনিয়া প্রদেশে ইতোমধ্যেই সামরিক বাহিনীর বিমান থেকে পানি ঢালার কাজ শুরু হয়েছে।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বিবাদের জেরে প্রথমে আন্তর্জাতিক সহায়তা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট। পরে ৯টি অঞ্চলের গভর্নর তাকে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করে। এরপর চিলির সহায়তা নিতে রাজি হয়েছেন তিনি।
অ্যামাজনের আগুন নেভাতে প্রস্তাবিত তহবিল নাকচ করে দেওয়ায় বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েন ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্ট। পরে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমি কি ওটা (আগুন নেভানোর তহবিল নাকচ করে দেওয়া) বলেছিলাম?’ তিনি আরও বলেন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এম্যানুয়েল ম্যাকরোঁ তাকে যে অপমান করেছেন, তা প্রত্যাহারের পর তিনি এই সহায়তা প্রস্তাবের জবাব দেবেন। বাণিজ্য আলোচনার সময় জলবায়ু প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে তাকে ‘মিথ্যা’ বলেছিলেন বলে বলসোনারোকে অভিযুক্ত করেছেন ম্যাকরোঁ।