
ছবি- সংগৃহীত
ইউক্রেনের খারকিভ শহরে গভীররাতে ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র এবং গাইডেড বোমা দিয়ে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। শহরের মেয়র ইহর তেরেকোভ শনিবার জানিয়েছেন, হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত তিনজন। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে তেরেখোভ বলেছেন, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সবচেয়ে শক্তিশালী হামলার শিকার হয়েছে খারকিভ।
ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর দাবি, দশটি স্থান লক্ষ্য করে রাতভর পরিচালিত হামলায় ২০৬টি ড্রোন, দুটি ব্যালিস্টিক এবং সাতটি অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে রুশ বাহিনী। তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিট ৮৭টি ড্রোন ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়। আরও ৮০টি ড্রোন ইলেকট্রনিক যুদ্ধের মাধ্যমে পথ হারিয়ে পড়ে যায় অথবা এগুলো ছিল যুদ্ধবিধ্বংসী ড্রোনের অনুরূপ ভুয়া ডিভাইস।
এই প্রতিবেদন লেখার আগ পর্যন্ত, হামলায় তিন জন নিহত এবং দেড় মাস বয়সী এক শিশুসহ ২২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ইউক্রেনের বৃহৎ শহরগুলোর মধ্যে একটি হলো এই খারকিভ। রুশ সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থানের কারণে ইউক্রেন-রাশিয়ার তিন বছরের যুদ্ধে ঘন ঘন হামলার শিকার হয়ে আসছে শহরটি।
সর্বশেষ হামলা সম্পর্কে তেরেখোভ আরও বলেছেন, রাতভর মুহুর্মুহু বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ক্ষেপণাস্ত্র , ড্রোন এবং গাইডেড এরিয়াল বোমা ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে রুশ সেনারা।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং রয়টার্সের প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, একাধিক বাড়িঘর ও যানবাহন বিধ্বস্ত হয়েছে এবং পুড়ে গেছে। উদ্ধারকারীরা আহতদের সরিয়ে নেওয়া এবং ধ্বংসস্তূপ সরাচ্ছেন।
খারকিভের গভর্নর ওলেহ সিনিয়েহুবভ বলেন, শহরের একটি বেসামরিক শিল্প প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে ৪০টি ড্রোন, একটি ক্ষেপণাস্ত্র ও চারটি বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয়। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও কেউ আটকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।