ফাইল ছবি
পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) গত সপ্তাহে ঘোষণা দিয়েছে যে, ২০২৪ সালের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অর্থাৎ পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের সময় খুব দ্রুতই ঘনিয়ে আসছে। সেই অনুযায়ী চলছে প্রস্তুতিও।
অপরদিকে নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসলেও কারাবন্দি রয়েছেন দেশটির তুমুল জনপ্রিয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার-উল-হক কাকার মনে করেছেন, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যানকে বাদ দিয়েই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব ।
জিও নিউজ জানিয়েছে, শুক্রবার মার্কিন বার্তা সংস্থা এপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছেন কাকার।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও জানিয়েছে, তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ৩ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান। এর বাইরে আরও শতাধিক মামলা ঝুলছে তার বিরুদ্ধে। বর্তমানে ইসলামাবাদের অ্যাটকো কারাগারে বন্দি আছেন তিনি। এ অবস্থায় তার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে আসছে।
তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ইমরান খান বা তার দলের শত শত সদস্যকে ছাড়াই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে, যারা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত থাকার কারণে কারাগারে বন্দী।’
গত ৯ মে দুর্নীতি মামলায় ইমরান খানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে জ্বালাও-পোড়াও এবং ভাঙচুর চালায় তার সমর্থকরা। বাদ যায়নি সেনাবাহিনীর স্থাপনাও। সহিংতায় জড়িত থাকায় অনেক সমর্থককে আটক করে নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের সামরিক আইনে বিচারের আওতায় আনার কথা বলা হয়। ওই দিনটিকে (৯ মে) ‘অন্ধকার দিন’ অ্যাখ্যা দিয়েছে দেশটির তৎকালীন শাহবাজ সরকার।
সাক্ষাৎকারে কাকার বলেন, ‘যারা ওইদিন সহিংসতায় জড়িত ছিল তারা সাজাভোগ করছেন। তবে এসব ঘটনায় যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি তাদের আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা নেই।’পিটিআই ক্ষমতায় যেন ফিরে না আসে, তা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। এমনকি আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কারসাজি হতে পারে এমন গুঞ্জনও বাতাসে ভাসছে।
এসব প্রশ্নে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি, এই ধরনের খবর একেবারেই অযৌক্তিক। ইসিপি নির্বাচন পরিচালনা করবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারও তা পর্যবেক্ষণে থাকবে।’