নারীর নিরাপত্তা প্রশ্নে সরকার ও রাষ্ট্র ক্রমাগত ব্যর্থতা ও উদাসীনতার পরিচয় দিচ্ছে। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যের হিসাব মতে, ফেব্রুয়ারি মাসে সারা দেশে ১১৪ জন নারী-শিশু ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন এবং ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
জানুয়ারির শুরুতে রাজধানীর কাফরুলে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন একজন পোশাক শ্রমিক, তার পরদিন সাভারের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় চতুর্থ শ্রেণীর এক শিশু, এরপর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এগুলোর বেশির ভাগই ক্ষমতাসীন দলের কর্মী সদস্যদের মাধ্যমে ঘটছে। আবার সবচেয়ে নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত এলাকাগুলোতে বা এর চারপাশেও নারীরা নিরাপদ নয়। কুমিল্লার সোহাগী জাহান তনু হত্যা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনাই এর প্রমাণ। আবার বেশিরভাগ নিপীড়ন-যৌন নির্যাতনের ঘটনা গণমাধ্যমে আসে না, বিচার পাওয়া আরও দূরের বিষয়।
এসবের কারণ অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও পুরুষতান্ত্রিক সমাজ বলে মনে করে নারী সংহতি। এ অবস্থায় কেবল বিচার চাওয়া নয়, এ রাষ্ট্রীয় সংকট কাটাতে দেশের সচেতন-সংগঠিত নাগরিক সমাজের সক্রিয় প্রতিবাদ-প্রতিরোধই পারে নিরাপদ মানবিক সমাজের নতুন দিশা দেখাতে।
আসন্ন ৮ মার্চের আন্তর্জাতিক নারী দিবস ও নারী সংহতির ১৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নারী সংহতি আহ্বান জানাচ্ছে, ‘আসুন, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে পাড়ায়-মহল্লায় রুখে দাঁড়াই, আমরাই প্রতিরোধের শক্তি হই’। আগামীকাল ৬ মার্চ ২০২০ শুক্রবার সকাল ১০টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ধর্ষণবিরোধী সমাবেশ করবে নারী সংহতি। এতে উপস্থিত থাকবেন সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখা সচেতন নাগরিকেরা।