ঢাকা : বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সৈয়দ ফাহিম মুনয়েমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার বাদ জুমা গুলশান আজাদ মসজিদে তৃতীয় নামাজে জানাজা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গত বুধবার ভোরে গুলশানের নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেন। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মৃত্যুকালে তার দুই ছেলে বিদেশ ছিলেন। তারা দেশে ফেরার পর আজ দাফন সম্পন্ন হয়। এ সময় তিন ছেলে ফারহাজ, ফরহান ও ফায়হান উপস্থিত ছিলেন।
সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ. আ. ম. স. আরেফিন সিদ্দিক, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার মোহাম্মদ জমির, মাছরাঙা টেলিভিশনের চেয়ারম্যান অঞ্জন চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ অংশগ্রহণ করেন।
জানাজা শেষে অর্থমন্ত্রী প্রয়াতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের সান্তনা ও সমবেদনা জানান।
প্রেসক্লাব থেকে ফাহিম মুনয়েমের মরদেহ তার কর্মস্থল মাছরাঙা টেলিভিশন প্রাঙ্গণ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বেলা সাড়ে ১১টায় তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
দ্বিতীয় জানাজা শেষে মরদেহ গুলশান আজাদ মসজিদে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বাদ জুমা তার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
ফাহিম মুনয়েম সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি ছিলেন। ২০১০ সালের মে মাসে তিনি মাছরাঙা টেলিভিশনের সিইও এবং চিফ এডিটর হিসেবে যোগ দেন। এর আগে তিনি ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকারের আমলে জাপানে বাংলাদেশ দূতবাসের প্রেস কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ইংরেজি দৈনিক ‘ডেইলি স্টার’-এ নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও কাজ করেছেন। এছাড়া দৈনিক সংবাদ, দ্য মর্নিং সান ও বার্তা সংস্থা ইউএনবিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ফাহিম মুনয়েমের বাবা প্রখ্যাত সাংবাদিক সৈয়দ নূরুদ্দিন এক সময় দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদক ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ডিগ্রি গ্রহণ করলেও দেশে ফিরে তিনি বাবার পথ ধরে পেশা হিসেবে সাংবাদিকতাকেই বেছে নেন। সংবাদকর্মীদের অনেকের কাছে তিনি ‘টিপু ভাই’ হিসেবেই বেশি পরিচিত ছিলেন।