ছবি: সংগৃহীত
ঢাকায় পৌঁছেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১২টায় এবং লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় হিথরো বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-৩০২ ফ্লাইটে করে তিনি দেশের উদ্দেশে রওনা করেন। এ সময় মা জুবাইদাকে বিদায় জানান মেয়ে জাইমা রহমান।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকাস্থ কাতার দূতাবাস থেকে জানানো হয়, বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার জন্য দেশটির আমিরের বিমান-কাতার এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রয়েছে। চিকিৎসকদের সম্মতি পেলেই কাতার থেকে রওনা হবে।
তবে শুক্রবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স (কাতারের পাঠানো) শুক্রবার আসছে না। সব ঠিক থাকলে সেটা শনিবার পৌঁছাতে পারে। ম্যাডামের (বেগম জিয়া) শরীর যদি যাত্রার উপযুক্ত থাকে এবং মেডিকেল বোর্ড যদি সিদ্ধান্ত দেয়, তাহলে ইনশাল্লাহ ৭ তারিখ (রোববার) ফ্লাই করবেন।’
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন জানিয়েছেন, ডা. জুবাইদা রহমান সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে চলে যাবেন। যাতন্ত্রিক ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের আসার বিষয়টিও বিলম্ব হতে যাচ্ছে। এতে জুবাইদা রহমানেরও লন্ডন যাত্রার সময় বাড়ছে। কারণ, তিনি বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে যুক্তরাজ্যে যাবেন।’
খালেদা জিয়ার সঙ্গে চিকিৎসকসহ মোট ১৮ জন সফরসঙ্গী হিসেবে লন্ডনে যাবেন। তারা হলেন- খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান, ছোট ছেলে কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী, ডা. ফখরুদ্দীন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, ডা. শাহাবুদ্দীন তালুকদার, ডা. নুরুদ্দীন আহমদ, ডা. রিচার্ড বিলি, ডা. জিয়াউল হক, ডা. জাফর ইকবাল, ডা. মোহাম্মদ আল মামুন। আরও থাকবেন হাসান শাহরিয়ার ইকবাল, সৈয়দ শামীন মাহফুজ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সহকারী মো. আব্দুল হাই মল্লিক, সহকারী ব্যক্তিগত সচিব মো. মাসুদার রহমান, গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম ও গৃহকর্মী রুপা শিকদার।
দীর্ঘদিন ধরে তিনি আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। গত বছরের ৫ আগস্টে গণ–অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। চিকিৎসার জন্য ১১৭ দিন লন্ডনে অবস্থান শেষে গত ৬ মে দেশে ফেরেন তিনি।
এরপর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয় বিএনপি চেয়ারপারসনকে। সবশেষ গত ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বিএনপি চেয়ারপাসনকে। এরপর থেকে তিনি সংকটাপন্ন পরিস্থিতিতে রয়েছেন বলে জানিয়ে আসছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. জাহিদ হোসেনসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। সবশেষ গত ১৩ দিন ধরে এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন।




