Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

কার্তিক ২৮ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার ১৩ নভেম্বর ২০২৫

রেড ফোর্টে বিস্ফোরণ: বিস্ফোরক বহনে ৩২ গাড়ি ব্যবহার হচ্ছিল

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:০৭, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

প্রিন্ট:

রেড ফোর্টে বিস্ফোরণ: বিস্ফোরক বহনে ৩২ গাড়ি ব্যবহার হচ্ছিল

ছবি: সংগৃহীত

দিল্লির রেডফোর্টে বিস্ফোরণের তদন্তে জড়িত সূত্র জানিয়েছে, মোট ৩২টি গাড়ি ব্যবহার করা হচ্ছিল বিস্ফোরক পরিবহন বা বোমা হামলার জন্য। এর মধ্যে ছিল মারুতি সুজুকি ব্রেজা, মারুতি সুইফট ডিজায়ার ও ফোর্ড ইকোস্পোর্ট। তদন্তকারীদের মতে, এই গাড়িগুলোকে ব্যবহার করে একটি সিরিজ হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তাদের উদ্ধৃত করে অনলাইন এনডিটিভি বলছে, এর মূল লক্ষ্য ছিল ৬ ডিসেম্বর দিল্লির ছয়টি স্থান। অর্থাৎ সেই দিন বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছিল। সোমবার সন্ধ্যায় বিস্ফোরিত হুন্ডাই আই২০ ছিল এই হামলার প্রথম গাড়ি। তদন্তে জানা গেছে, বাকি গাড়িগুলোও একইভাবে হামলায় ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছিল। এ পর্যন্ত চারটি গাড়ি শনাক্ত করা হয়েছে। ব্রেজা পাওয়া গেছে হরিয়ানার ফরিদাবাদের আল-ফালাহ মেডিকেল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের ক্যাম্পাসে, যা এখন এই চক্রের মূল ঘাঁটি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। 

ইকোস্পোর্ট গাড়িটি (ডিএল১০ সিকে ০৪৫৮) বুধবার রাতে ফরিদাবাদে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। গাড়ির ভেতর থেকে এক তরুণকে ঘুমন্ত অবস্থায় আটক করা হয়েছে। ডিজায়ার গাড়িটি সোমবার বাজেয়াপ্ত করা হয়। এর ভেতর থেকে একটি অ্যাসল্ট রাইফেল ও গুলি উদ্ধার করা হয়। রেডফোর্টে বিস্ফোরণে ১৩ জন নিহত হন। আই২০ গাড়িটিতে ছিল উচ্চমাত্রার বিস্ফোরক ও অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ফুয়েল অয়েল। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, উমর মোহাম্মদ নামের একজনের ভুলে বিস্ফোরণটি ঘটে যায় আগেভাগে। ডিএনএ পরীক্ষায় নিশ্চিত করা হয়েছে যে, উমর মোহাম্মদই বিস্ফোরণে নিহত হয়েছে। 

সোমবার সকালে গাড়িটি বদরপুর সীমান্ত দিয়ে দিল্লিতে প্রবেশ করে এবং কয়েক ঘণ্টা শহরে ঘুরে বেড়ায়। পরিকল্পনা ছিল লালকেল্লার পার্কিং এলাকাতেই বিস্ফোরণ ঘটানোর। তবে যেহেতু সোমবার ফোর্টটি বন্ধ থাকে, উমর পরিকল্পনা বদলে কেল্লার প্রধান ফটকের সামনের ব্যস্ত ট্রাফিক সিগন্যালে বিস্ফোরণ ঘটায়। তার আশেপাশেই ছিল একটি মেট্রো স্টেশনও। তদন্তে জানা গেছে, উমর উন-নবী (অন্য নামে) হয়তো আতঙ্কে পড়েছিল। কারণ তার তিন সহযোগী-  আদিল আহমেদ রাঠার, মুজাম্মিল শাকিল ও শাহিনা সাঈদকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়। এদের কাছ থেকে ৩০০০ কেজির বেশি বিস্ফোরক ও কয়েকটি অ্যাসল্ট রাইফেল উদ্ধার হয়, যা মজুত ছিল ফরিদাবাদের আল-ফালাহ হাসপাতাল এবং জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগের গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজে।

Walton Refrigerator cables
Walton Refrigerator cables