![যারা দুর্বৃত্ত, তাদের জেলজুলুম হবেই: কাদের যারা দুর্বৃত্ত, তাদের জেলজুলুম হবেই: কাদের](https://www.bahumatrik.com/media/imgAll/2018September/kader-2405251028.jpg)
ছবি- সংগৃহীত
কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের জেলে পাঠানোর এজেন্ডা আওয়ামী লীগের নেই জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা দুর্বৃত্ব, অপরাধী তাদের জেলজুলুম হবেই। কেউ অপরাধ করলে সাজা হবে, মামলা হবেই।
শনিবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কবির সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কথা বলছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ছবি: ভিডিও থেকে নেয়া
শনিবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কবির সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপি থেকে বলা হয়, নজরুল ইসলাম তাদের আন্দোলনের বাতিঘর। কিন্তু তারা যখনই আন্দোলন-সংগ্রাম করে তখনই সরকার তাদের জেলজুলুম শুরু করে-এক সাংবাদিক এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, নির্বাচনের পর বিএনপি অথবা কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাদের নির্যাতন করা কিংবা জেলা পাঠনোর চিন্তা করেনি আওয়ামী লীগ। কিন্তু যারা দুর্বৃত্ত, অগ্নিসন্ত্রাস, খুন করে, অস্ত্র ব্যবস্থা করে, তাদের অপরাধের মানদণ্ডে জেলজুলুম হয়, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সে ক্ষেত্রে কোনো দল বিবেচনা করা হয় না।
বিএনপির সমালোচনা করে কাদের আরও বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি তৎপর। সাম্প্রদায়িক বিষ বৃক্ষকে সমূলে উৎপাটন আওয়ামী লীগের আঙ্গীকার
কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাদের জেলে পাঠানোর এজেন্ডা নেই জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখানে বিএনপি বা কোনো দলের ব্যাপারে আমরা নতুন করে চিন্তা ভাবনা করিনি। কাউকে নির্যাতন কিংবা জেলে পাঠানোর চিন্তাও নেই। কিন্তু রাজনৈতিক দলের কেউ যদি অপরাধ করে থাকে। এই যে গত ২৮ অক্টোবরের যে মামলা। সেদিন তারা কি না করেছে। প্রকাশ্যে দিবালোকে পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করেছে, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা চালিয়েছে, আনসারদের পিটিয়ে হত্যা করেছে; সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন করেছে। যারা এসব কাজে জড়িত তারা রাজনৈতিক দলের কর্মী নয়, তারা দুবৃর্ত্ত। জাতীয় ও জনস্বার্থে তাদের শায়েস্তা করতেই হবে।
এ সময় জাতীয় কবিকে স্মরণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম বিদ্রোহ-বেদনার কবি, যৌবনের কবি। তিনি আমাদের জাতীয় কবি। যে কবিকে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর প্রতিবেশী দেশ থেকে দেশে এনেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনায় মৃত্যুর পর এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদের পাশে সমাহিত করা হয়
নজরুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধে আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস উল্লেখ করে কাদের আরও বলেন, বাঙালি জাতির স্বাধিকার সংগ্রাম আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম এই মুক্তিযুদ্ধ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বাধীনতার সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন তার প্রেরণার উৎস ছিলেন কবি নজরুল ইসলাম। তার গান ও কবিতা স্বাধিকার ও স্বাধীনতার সংগ্রামে উৎসাহ জুগিয়েছে। আজ আমরা সেই কবিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।
বাংলা ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুরিয়া থানার চুরুলিয়া গ্রামে কবি নজরুল ইসলাম জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’। তার বাবার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মা জাহেদা খাতুন।
কবির জন্মদিন উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. শাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় কবির জন্মদিনে রাষ্ট্রীয়ভাবে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় তিন দিনব্যাপি (২৫ থেকে ২৭ মে) অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী। বিকেল ৪টায় রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে এ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করা হবে।
এ ছাড়াও ময়মনসিংহ, জাতীয় কবির স্মৃতি বিজড়িত কুমিল্লার দৌলতপুরসহ বিভিন্ন স্থানে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন হবে। এ উপলক্ষে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। জাতীয় পর্যায়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানমালাও থাকছে।