ফাইল ছবি
দীর্ঘ সতেরো বছরের প্রবাস জীবন ও রাজনৈতিক নির্বাসন শেষে দেশে ফিরেই ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি ঢাকা-১৭ আসনের গুলশান এলাকার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন।রোববার নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখা থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে গিয়ে ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন তিনি।
২০০৮ সালে দেশে যখন ছবিসহ প্রথম ভোটার তালিকা তৈরি হয়, তখন চিকিৎসার জন্য লন্ডনে অবস্থান করছিলেন তারেক রহমান। বিগত ১৬ বছরের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে তিনি দেশে ফিরতে না পারায় ভোটার তালিকায় তার নাম ওঠেনি। জুলাই অভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশে ফিরেই তিনি এই নাগরিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেন।
প্রায় দেড় যুগের নির্বাসনের পর গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশে ফেরেন তারেক রহমান। তার প্রত্যাবর্তন ঘিরে ঢাকায় লাখ লাখ নেতাকর্মী, সমর্থকসহ সাধারণ মানুষের অভূতপূর্ব জমায়েত হয়। ঢাকার পূর্বাচলের জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে (৩০০ ফিট) এলাকায় সংবর্ধনা দেয়া হয়। সারা দেশ থেকে লাখ লাখ নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অংশ নেন।
দেশে ফেরার দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতে যান তারেক রহমান। গুলশান থেকে জিয়া উদ্যানের পুরো রাস্তায় তাকে স্বাগত জানান হাজারো নেতাকর্মী।
পথে পথে নেতাকর্মীদের অভিবাদন গ্রহণ করেন তারেক রহমান। হাত নেড়ে জানান শুভেচ্ছা। জনস্রোত পেরিয়ে বিকেল পৌনে ৫টায় জিয়া উদ্যান এলাকায় পৌঁছান তারেক রহমান। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানান বাবা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে। ফাতেহা পাঠের পাশাপাশি অংশ নেন দোয়া ও মোনাজাতে। শহীদ জিয়ার রুহের মাগফেরাত এবং মা বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করেন।
জিয়া উদ্যান থেকে বেরিয়ে ৫টার দিকে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে রওনা হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। পথে পথে ছিল জনতার ঢল। জনতাকে সামলাতে হিমশিম খান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। রাত ১০টার কিছু পর জাতীয় স্মৃতিসৌধে তিনি প্রবেশ করে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।




