
ফাইল ছবি
গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা। সরকারি বা বেসরকারি ফলাফল ঘোষণার সময় এখনো বাকি। স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত দায়িত্বশীল সূত্র থেকে জানা গেছে, ৪৮০টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৭ কেন্দ্রে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান পেয়েছেন ৭৪৩০ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন টেবিল ঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৬৯০৭ ভোট।
সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আয়তনের সিটি করপোরেশন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের তৃতীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
সকালেই আটজন প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থী স্ব স্ব কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। সকালে কম এলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারদের উপস্থিতি বেড়ে যায়।শেষ সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত কেন্দ্রের ভেতরে ভোটারের লাইন লক্ষ করা যায়। বিকাল ৪টার সাথে সাথে কেন্দ্রেগুলোর সামনে ও রাস্তায় থাকা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর লোকজন তৎপরতা বাড়িয়ে দেন। সম্ভাব্য নাশকতা ঠেকাতে তারা অতিরিক্ত টহল শুরু করেন।
ভোট দিয়ে সকল প্রার্থী সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে নৌকা প্রতীক ছাড়া অন্য প্রার্থীদের অনেকেই নানা ধরনের অভিযোগ করতে থাকে।সকল অভিযোগের মধ্যেও তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, টঙ্গী ও গাজীপুর পৌরসভা নিয়ে গঠন করা হয়েছিল আয়তনে দেশের অন্যতম বড় গাজীপুর সিটি করপোরেশন। বিগত দুই নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পেছনে স্পষ্ট ছিল আঞ্চলিকতার ছাপ।