ছবি- সংগৃহীত
গাজায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি সোমবার শেষ হয়েছে। এই বিরতির পর গাজায় কী হবে, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা ছিল বিশ্বজুড়ে। তবে শেষ পর্যন্ত আরও দুইদিন যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে হামাস ও ইসরায়েল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস ও মধ্যস্থতাকারী রাষ্ট্র কাতার।
বাংলাদেশ সময় সোমবার রাতে আমিরাতভিত্তিক দ্য ন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি বাড়াতে হামাস ও কাতারের শেষ চেষ্টা সফল হয়েছে। হামাসের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, ‘কাতার ও মিসরের ভাইদের মধ্যস্থতায় আমরা চলমান যুদ্ধবিরতি একই শর্তে আরও দুই দিন বাড়ানোর জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছেছি।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা থেকে আরও ইসরায়েলি জিম্মি এবং ইসরায়েলে বন্দী আরও ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিতে কাতারসহ মিসর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মধ্যে নিবিড় আলোচনা হয়েছে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি এ বিষয়ে অ্যাক্সে (সাবেক টুইটার) একটি টুইট করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘কাতার ঘোষণা করেছে, চলমান মধ্যস্থতার অংশ হিসেবে গাজা উপত্যকায় আরও দুই দিনের জন্য মানবিক যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর একটি চুক্তি হয়েছে।’
এর আগে গত রোববার এক সূত্রের বরাতে এএফপি জানিয়েছিল, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও দুই থেকে চার দিন বাড়ানোর বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে হামাস। এই সময়ে ইসরায়েলের আরও ২০ থেকে ৪০ জিম্মিকে মুক্তি দিতে চায় তারা। তবে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে দ্বিমত ছিল।
উল্লেখ্য, গত চার দিনের যুদ্ধবিরতির মধ্যে ৫০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছেন হামাস যোদ্ধারা। অন্যদিকে চুক্তির আওতায় ইসরায়েলের কারাগার থেকে ১৫০ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
যুদ্ধবিরতি শেষে গাজায় আবার হামলা চালানো হবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সরকারের মুখপাত্র ইলন লেভি বলেন, ‘জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া থামানোর সঙ্গে সঙ্গে হামাস নির্মূলের অভিযান শুরু হবে।’