
ছবি: সংগৃহীত
বান্দরবানে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া পাহাড় কাটার দায়ে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনকে ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দৈনিক প্রথম আলোসহ বেশকয়েকটি জাতীয় দৈনিক এবং অনলাইন পত্রিকার খবরে প্রকাশ- ৩০ জুলাই ২০২৫ বুধবার পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের ডলুছড়ি এলাকায় পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণের কাজ করছিল। সেখানে প্রতিষ্ঠানটির একটি আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।
অনুমোদন ছাড়াই প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস করায় ফাউন্ডেশনটির বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের বান্দরবান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রেজাউল করিম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ছয় হাজার ঘনফুট পাহাড় কেটেছে। এ বছরের ২৮ মার্চ বিষয়টি অধিদপ্তরের নজরে আসে। এরপর একাধিকবার এলাকাটি পরিদর্শন করা হয় এবং শুনানি হয়। চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ জরিমানা আরোপ করা হয়।
শিক্ষা, ধ্যান ও আধ্যাতিক সাধনার আড়ালে ভুমিদস্যুতা, অত্যাচার-নির্যাতন সহ শান্ত পাহাড়কে অশান্তকরণের মাধ্যমে নিজের আখের গোছানোর বিস্তর অভিযোগ আছে কোয়ান্টামের প্রধান খ্যাতনামা আধ্যাতিক গুরু মহাজাতক শহীদ আল বুখারি ওরফে গুরুজির বিরুদ্ধে। সন্ত্রাস লালনে সিদ্ধহস্ত এই গুরুজির ভয়ে-আতঙ্কে অতিষ্ট লামাবাসী এবং লামায় পরিবেশবান্ধব রাবার উৎপাদনকারি সংস্থা লামা রাবার মালিক সমিতি। কোয়ান্টামের অত্যাচারের সীমা যেন সীমাহীন আতঙ্কের আড়ালে পাহাড় দখলের রাজস্ব কায়েমের ষড়যন্ত্র। এর আগেও কোয়ান্টামের নামে স্থানীয় জনগণের বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছিলো কিন্তু সবই ছিলো প্রতিকারহীন। নিজের আধ্যাতিক সাধনা ব্যবসার অনুসারী শিষ্য খ্যাত দেশের আমলা ও প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদেরকে কাজে লাগিয়ে তিনি সকল অভিযোগকে ধামাচাপা দিয়ে অন্যায়ের রাজত্ব করে আসছিলেন। কিন্তু এইবার ঘটল ব্যতিক্রম।
প্রশাসনের তৎপরতায় অবৈধভাবে পাহাড় কেটে ভুমি দখলের অভিযোগে গুরুজির কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনকে ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই খবরে লামার নিরীহ জনগণ স্বস্তির হাফ ছেড়েছে। আনন্দে-আত্মহারা পাহাড়ের জনগণ ন্যায় বিচারের আশায় বুক বেঁধেছে।