ছবি- সংগৃহীত
ঘূর্ণিঝড় রিমালে প্রাথমিকভাবে ২০ জেলায় ৬ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। রোববার দুপুরে সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী আন্ত: মন্ত্রণালয় সভা শেষে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান। দেড় হাজার ট্রলার ও ১১৬৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আগামী রোববার ৯ জুন প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হবে।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে উপকূলীয় এলাকায় ৪৬ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। প্রায় ৪০০ কিলোমিটার জুড়ে তাণ্ডব চালানো ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসে, উপকূলীয় এলাকার অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে-১ লাখের ওপরে পুকুর ডুবেছে লবণাক্ত পানিতে। ঘেরের শত কোটি টাকার মৎস সম্পদ নষ্ট হয়েছে। দেড় হাজার ট্রলার ও ১১৬৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৮৮৯টি স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ের হিসাবে ৬ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে আমরা ত্রাণ সাহায্য তুলে দিচ্ছি।’
ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোতে দুর্গতদের ৫ কোটি ৭৫ লাখ নগদ টাকা এবং ৫৫০ মেট্রিকটন চালের পাশাপাশি শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে। শিশু খাদ্য ও গবাদি পশুর খাদ্যের জন্য টাকা এবং ঘর মেরামতে দেয়া হয়েছে ঢেউটিন।
৯ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ২০০ বান্ডিল ঢেউটিন, ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা গো-খাদ্যের জন্য ও ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা শিশু খাদ্যের জন্য বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
এদিকে, সিলেট, সুনামগঞ্জ ও দিনাজপুরে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী।