ছবি: বহুমাত্রিক.কম
খুলনা : খুলনা জেলা বিএনপির সাংগঠিক সম্পাদক ফুলতলা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সরদার আলাউদ্দিন মিঠু হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করার দাবি করেছে পুলিশ। হত্যাকান্ডের কারণ, অর্থদাতা, পরিকল্পনাকারী এমনকি কিলারদের চিহ্নিত করার দাবি করে মঙ্গলবার পুলিশ প্রেসব্রিফিং করেছে।
খুলনা রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো: দিদার আহমেদ মঙ্গলবার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, পূর্ব শত্র“তা, স্থানীয় পারিবারিক প্রতিহিংসা ও আভ্যন্তরীন রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্ধিতার পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বিএনপি নেতা সরদার আলাউদ্দিন মিঠুকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের সাথে যুক্ত থাকা আসামীদের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে এমন বিষয় বেরিয়ে এসেছে। চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের প্রাথমিক অবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ডিআইজি মো: দিদার আহমেদ বলেন, গত ২৫ মে রাতে বিএনপি খুলনা জেলা শাখার সাংগঠণিক সম্পাদক সরদার আলাউদ্দিন মিঠুকে কতিপয় অস্ত্রধারী কালো পোষাক পরিহিত অবস্থায় তার অফিস কক্ষে গুলি করে হত্যা হরে। তাদের গুলিতে মিঠুর দেহরক্ষী নওশের আলীও মারা যায়। আহত হয় মিঠুর শ্বশুর ফজলুল আলম সেলিম ও অপর দেহরক্ষী শিমূল হালদার। এই মামলায় এ যাবত ৪জনকে গ্রেপ্তারের মধ্যে তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। যারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে তারা হল, শিমূল হাওলাদার (২৫), মুশফিকুর রহমান রিফাত (২৫) ও হাসনাত রিজভী মার্শাল। হাসনাত রিজভী মার্শাল বিএনপি ফুলতলা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব। তাদের দেয়া জবানবন্দিতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত শর্টগানসহ মো: তাইজুল ইসলাম রনি (২৫)কে গ্রেপ্তার করা হয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিঠুকে হত্যার জন্য ফুলতলার অধিবাসী প্রবাসী ড. মামুন রহমান অর্থায়ন করেছেন। তিনি হত্যাকান্ডে ৩০ লাখ টাকা দিয়েছেন। যা হাসনাত রিজভী মার্শালের মাধ্যমে কিলারদের কাছে পৌছেছে। এই মামুন ও মিঠু দুজনই আগামীতে সংসদ সদস্য প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিঠুর বাবা সরদার আবুল কাশেমের হত্যার বিচার হয়েছে। মিঠুর ভাই বাদল চেয়ারম্যান হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুলিশ আদালতে চার্জশিট দিয়েছে।
পুলিশের কাছে মিঠুর নিরাপত্তা চাওয়া বা জীবন শঙ্কার বিষয় সম্পর্কে তিনি বলেন, এমন কোন ঘটনা নিয়ে মিঠুর পক্ষ থেকে থানায় জিডি করা হয়নি। তাই নিরাপত্তাহীনতায় থাকার বিষয়টি স্পষ্ট নয়। হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি ৫ জন যুক্ত ছিল। হত্যাকান্ডের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে এ সময়ে বাইরে ছিল আরও ৬জন।
এত দ্রুততম সময়ের মধ্যে চাঞ্চলল্যকর এই হত্যার রহস্য উদঘাটন সম্পর্কে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ডিআইজি বলেন, পুলিশ হেডকোয়ার্টারের আধূনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুনীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের ফোন কল যাচাই করে সনাক্ত করা হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, র্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত ডিআইজি রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত ডিআইজি একরামূল হাবিব, অতিরিক্ত ডিআইজি হাবিবুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, র্যাব-৬ এর বিশেষ কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনায়েত হোসেন মান্নান।
বহুমাত্রিক.কম