
ছবি : বহুমাত্রিক.কম
সাভার : আমাগো সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। একটা বই খাতাও নাই। সব আগুনে পুইড়া শেষ হয়ে গেছে। বাবা-মা কষ্ট করে লেখাপড়া শিখাইতেছিল। সামনে এসএসসি পরীক্ষা, দিতে পারব কি-না জানিনা। আমার এসএসসি পরীক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
কথাগুলো বলছিল সাভারের আশুলিয়ার জিরানী পুকুরপাড় এলাকায় আগুনে পুড়ে যাওয়া শ্রমিক কলোনীর ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের এক সদস্যের ছেলে হাসিবুল হাসান শান্ত।
হাসিবুল হাসান শান্ত বিকেএসপি পাবলিক স্কুলের বিজ্ঞান শাখা থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু গত রোববার সকালে ভয়াবহ এক অগ্নিকান্ডে শ্রমিক কলোনীর ২১কক্ষ পুড়ে যায়। ওই ঘটনায় শ্রমিকদের ঘরে থাকা সমস্ত মালামাল ভস্মিভুত হয়। আগুনে পুড়ে যায় এসএসসি পরীক্ষার্থী শান্ত’র বই-খাতা, স্কুল ড্রেসসহ সকল জিনিসপত্র।
শুধু শান্ত ও তার পরিবারই আগুনের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ওই কলোনীর আরো ২১টি পরিবার। শুধু পড়নের কাপড় ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই তাদের। সবকিছু হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা।
তবে শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবিএম আজাহারুল ইসলাম সুরুজ এবং স্থানীয় ৮নং ওয়ার্ড সদস্য করিম চিশতী ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন। এছাড়া অকো টেক্স নামের একটি পোশাক কারখানার পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ প্রত্যেক পরিবারের সদস্যদেরকে আর্থিক সহায়তা এবং একটি করে কম্বল বিতরণ করেছেন।
শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য করিম চিশতী জানান, আগুনের খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে আমার পক্ষ থেকে কিছুটা সহায়তা প্রদান করেছি। একজন এসএসসি পরীক্ষার্থী রয়েছে আমার জানা ছিলনা। তবে এখন যেহেতু জেনেছি তাকেও আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে বই-খাতা ও পোশাক কেনার জন্য সহায়তা করবো।
শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবিএম আজাহারুল ইসলাম সুরুজ জানান, ‘আগুনের খবর পেয়ে সাথে সাথেই আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। পরে তাদের কিছুটা সহায়তা করেছি। এছাড়া অকো টেক্স নামের একপি পোশাক কারখানায় যোগাযোগ করে তাদের মাধ্যমে সহায়তা করেছি। এসএসসি পরীক্ষার্থী যাতে পরীক্ষা দিতে পারে এবং বই-খাতাসহ কেনা সহ তার খরচের জন্য সহায়তা করব। সেই সাথে তার ঘনিষ্টজনদের কাছে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে সহায়তা প্রদানের অনুরোধ জানান তিনি।
বহুমাত্রিক.কম