
বিদেশ যেতে ইচ্ছুক এমন শ্রমিকদের বিমানের ভাড়া হাতের নাগালে রাখার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এছাড়া অনিয়ম, দুর্নীতি এবং অস্বাভাবিক বিমানভাড়ার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানসমূহের বিরুদ্ধে কেন যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।
সিলেটের কানাইঘাটের আট ব্যক্তির পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির মঙ্গলবার এ নোটিশ পাঠান। অন্যথায় উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে বলে নোটিশে বলা হয়ছে।
প্রবাসী কল্যাণ সচিব, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব রিক্রুটিং এজেন্সি`র (বায়রা) সভাপতি বরাবরে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে দেখা যায় বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যেতে বিমান ভাড়া অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। ঢাকা থেকে দুইবায়ে পূর্বের বিমান ভাড়া ৩০ হাজার টাকা হলেও এখন তা ৯০ হাজার টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। ঢাকা থেকে সৌদিআরব রুটের ৪৫ হাজার টাকার বিমান টিকেট এখন এক লাখ টাকাতেও পাওয়া যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ বিমানে ভ্রমণকারী যাত্রীদের করা ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা যায়, টিকেটের সংকট থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন ফ্লাইটে বিপুলসংখ্যক আসন ফাঁকা যাচ্ছে।
এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, টিকেট সিন্ডিকেটের কারণে বাংলাদেশ বিমান ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। টিকেট কারসাজির মাধ্যমে উচ্চমূল্যের কারণে একদিকে প্রবাসী শ্রমিকরা তাদের কর্মস্থলে যেতে পারছেন না। অপরদিকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বিমানসংস্থা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
টিকেটের উচ্চমূল্যের কারণে শ্রমিকদের বিদেশ যাওয়া নিয়ে নোটিশে বলা হয়, অনেক শ্রমিক তাদের কর্মস্থলে যেতে পারছেন না এবং দেশ বঞ্চিত হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা হতে। বিষয়টি নিয়ে প্রবাসীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজমান।
এ ব্যাপারে `আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০২১` উপলক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিদেশের শ্রমবাজার নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান অরাজক পরিস্থিতি বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ ও প্রবাসীদের কল্যাণ ও সুরক্ষায় গৃহীত মূলনীতির সাথে সাংঘর্ষিক। এর নেতিবাচক প্রভাব বাংলাদেশের অর্থনীতির উপর অবশ্যম্ভাবী।