
ছবি: সংগৃহীত
আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের ফলাফলকে অত্যন্ত ইতিবাচক বলে আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৈঠক শেষে আলাস্কা ছাড়ার আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন তিনি।
পুতিনের সঙ্গে আজ খুব ভালো একটি সাক্ষাৎ হয়েছে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাথে আমার সবসময়ই চমৎকার সম্পর্ক ছিল।
বৈঠকের ফলাফল জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, পরে কী হয় তা আমরা দেখব, তবে আমি দেখতে চাই মানুষ মারা যাওয়া বন্ধ হোক।
পুতিনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকের মূল্যায়ন করতে বললে ট্রাম্প জবাব দেন, ‘১০–এ ১০।’ তিনি বলেন, ‘আলোচনায় আমাদের মধ্যে দারুণ মিল ছিল।’
ট্রাম্প বলেন, এখন ইউরোপের দেশগুলোকে সম্পৃক্ত করে একটি চূড়ান্ত চুক্তি করার দায়িত্ব জেলেনস্কির। আগামীতে রাশিয়া ও ইউক্রেন সরাসরি আলোচনায় বসবে। সেই আলোচনায় পুতিন ও জেলেনস্কি-দুজনেই থাকবেন।
ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয় ইউক্রেনের যুদ্ধ ভূমি বদলের মাধ্যমে কীভাবে শেষ হতে পারে? জবাবে ট্রাম্প বলেন, পুতিনের সাথে বৈঠকের সময় এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং এ বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এটি খুব ইতিবাচক বৈঠক ছিল। আমি মনে করি ‘আমরা একটি চুক্তির খুব কাছাকাছি’। ইউক্রেনকে যেকোনো চুক্তিতে রাজি হতে হবে। ‘হয়তো তারা না বলবে’। তবে আমি জেলেনেস্কিকে বলবো একটি চুক্তি করুন।
২০২০ সালের নির্বাচনের পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকলে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুই হতো না বলে ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার যে দাবি করে আসছেন, তার সঙ্গে একমত জানিয়েছেন পুতিন।
এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প পুতিনের প্রশংসা করে বলেন, তিনি যদি রাশিয়ার আক্রমণের সময় প্রেসিডেন্ট থাকতেন, তাহলে ‘কখনই তা ঘটত না’।
ট্রাম্প বলেন, এই যুদ্ধ কখনওই হওয়া উচিত ছিল না। আপনি জানেন যে অনেক যুদ্ধ কখনওই হওয়া উচিত ছিল না। বোকামিপূর্ণ ঘটনা ঘটে এবং ভুল লোকেরা কথা বলছে। তিনি রাশিয়ার আক্রমণ ঠেকাতে না পারার জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সমালোচনা করেন।