
ফাইল ছবি
মণিপুরের ১১টি বুথে ফের ভোট করার নির্দেশ দিল কমিশন। ১১টি বুথে একসঙ্গেই পুনর্নির্বাচন হবে সোমবার । প্রথম দফার ভোটপর্বে ভয়াবহ হিংসার অভিযোগ তুলে মণিপুরের অন্তত ৪৭টি বুথে ফের ভোট চেয়েছিল কংগ্রেস। তবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সব মিলিয়ে ১১টি বুথে ফের ভোট করাতে হবে।
মণিপুরের যুগ্ম নির্বাচন অফিসার রামানন্দ নঙমেইরাপাম মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সচিবকে চিঠি পাঠিয়ে ওই সব বুথে পুনর্নির্বাচনের সুপারিশ করেন। এমনটাই জানিয়েছেন সে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক।
শুক্রবার প্রথম দফার ভোটের দিন মণিপুরের একাধিক বুথ থেকে উত্তেজনার খবর আসে। নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে বুথ তছনছ করে কয়েকজন দুষ্কৃতকারী। ইম্ফলের একাধিক বুথে বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়। পূর্ব ইম্ফল জেলার মৈরাঙকামপো সাজেব আপার প্রাইমারি স্কুল এবং ইরৈসেম্বা আপার প্রাইমারি স্কুল ভোট কেন্দ্রের ছয়টি বুথে উত্তেজিত জনতা ইভিএম, ভিভিপ্যাট, ব্যালট ইউনিট-সহ সব কিছু ভেঙে দেয়। এ ছাড়া, খৈদামমাখায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতকারীরা ৬১টি অতিরিক্ত ভোট দিয়ে চলে যায়। নির্বাচন চলাকালে প্রকাশ্যে আসে ভোটারদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ভিডিও। এরপরই পূর্ব ইম্ফলের ২টি এবং পশ্চিম ইম্ফলের ৩টি বুথে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে দেয় কমিশন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ওই ১১টি বুথই ইনার মণিপুর লোকসভা কেন্দ্রের।
নির্বাচন চলাকালীন সন্ত্রাসের জেরে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ৪৭টি বুথে জোরালো ভাবে পুনর্নির্বাচনের দাবি করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৩৬টি ইনার মণিপুর আসনের, ১১টি আউটার মণিপুরের। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কেইশাম মেঘচন্দ্র সিং সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ভারতের নির্বাচন কমিশন, মণিপুরের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এবং সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসারদের কাছে অনিয়ম ও গুরুতর কারচুপির বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছি।’
তবে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ২২ এপ্রিল ১১টি বুথে সকাল ৭টা থেকে শুরু হবে ভোটগ্রহণ পর্ব। খুরাই কেন্দ্রের মৌরাংকাম্পু সাজেব, থংগাম লেইকাই বুথ, ক্ষেত্রীগাঁওয়ের চারটি বুথ, পূর্ব ইম্ফলের একটি বুথ, উরিপোকে তিনটি এবং পশ্চিম ইম্ফলের একটি বুথে পুনর্নির্বাচন হবে। ভোটাররা যেন নির্ধারিত সময়ে নিজেদের ভোটকেন্দ্রে পৌঁছে যান সেই অনুরোধও কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।