
ছবি- বহুমাত্রিক.কম
প্রথমদিনের ভর্তি পরীক্ষার মতো দ্বিতীয় দিনেও দেরীতে আসা পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে ঢুকতে দিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। দুই দিনই `মানবিক বিবেচনা`-র কারণ দেখিয়ে তাদের ঢুকতে দেয়া হয়।কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির প্রথম বর্ষ `সি` ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার ১০টা থেকে মোট ৯ টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
পরীক্ষা চলাকালীন প্রায় ১০টা ৩২ মিনিটের কাছাকাছি সময়ে এক শিক্ষার্থী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আসে। ওই পরীক্ষার্থীর নাম তানজিলা তাসনিম রিফা। তার ভর্তি রোল ৩০১৮৯০।এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন ঐ ভর্তিচ্ছুকে `মানবিক বিবেচনায়` কেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি দেন।
এ নিয়ে প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে `মানবিক বিবেচনায়` তাকে পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের জানান, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা নেওয়ার স্বার্থে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওই শিক্ষার্থীর খাতা আলাদা পর্যবেক্ষণের জন্য কেন্দ্র পরিদর্শকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৮ নভেম্বর `এ` ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় দেরীতে এসে পৌঁছায় কয়েকজন পরীক্ষার্থী। এসময় একজন পরীক্ষার্থী আহাজারি শুরু করলে ওই পরীক্ষার্থীকে `মানবিক বিবেচনায়` পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী। এসময় অন্য আরেক পরীক্ষার্থীও কেন্দ্রে প্রবেশ করে পরীক্ষা দেন।
এছাড়াও বিকালের শিফটে `বি` ইউনিটের পরীক্ষায় গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরী স্কুলে দেরীতে আসে আরেক ভর্তিচ্ছুকে `মানবিক বিবেচনায়` পরীক্ষার হলে বসার অনুমতি দেন উপাচার্য।
এসময় উপাচার্য বলেন, `ভর্তি পরীক্ষা বিশাল কর্মযজ্ঞ। এই ভর্তি পরীক্ষাকে ঘিরে কোনো ধরণের "পাবলিক সিন" তৈরি হোক তা আমরা চাইনা। তাই মানবিক বিবেচনায় তাদের সুযোগ দিয়েছি। তাদের খাতাগুলোকে চিহ্নিত করে রাখার নির্দেশনা দিয়েছি।`
বহুমাত্রিক.কম