
ফাইল ছবি
ছাগলকাণ্ডে আলোচিত মতিউর রহমানের বেনিফিশিয়ারি অ্যাকাউন্ট (বিও হিসাব) স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
মঙ্গলবার এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে সময় সংবাদকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএসইসির মুখপাত্র রেজাউল করিম।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে প্রাপ্ত চিঠি ও তথ্যের ভিত্তিতে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকে (সিডিবিএল) এই নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি। এক্ষেত্রে মতিউরসহ তার পরিবারের অ্যাকাউন্টগুলো আপাতত স্থগিতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া তাদের ব্যাংক হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি, লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি তথ্য সরবরাহের জন্য নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
মূলত ঢাকার মোহাম্মদপুরে অবস্থিত ‘সাদিক এগ্রো’ ফার্ম থেকে বিটল প্রজাতির একটি খাসি ১২ লাখ টাকায় কিনে আলোচনায় আসেন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক যুবক। পরে এক ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে গুঞ্জন ওঠে, তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ছেলে। রাজস্ব কর্মকর্তা বাবার দুর্নীতির টাকায় তিনি ১২ লাখ টাকায় খাসিটি কেনেন বলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
মতিউর রহমান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট ও সোনালী ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন।
দুর্নীতির বিষয়ে সমালোচনা সামনে এলে তাকে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়। পরে সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকেও তাকে সরিয়ে দেয়া হয়।
এদিকে মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে গত ৪ জুন পাওয়া অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিন সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মতিউর রহমানের দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিরুদ্ধে দলটি অনুসন্ধান শুরু করেছে।