
ছবি: বহুমাত্রিক.কম
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা স্বাধীনতাবিরোধী ছিল সেই অপশক্তিই ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে হত্যা করে। তারা ব্যক্তি মুজিবকে হত্যা করলেও মুজিবসত্তা ও তাঁর আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি যার ফলশ্রুতিতে এখন ঘরে-ঘরে মুজিব বন্দনা হচ্ছে। সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ অডিটোরিয়ামে জেলা তথ্য অফিস আয়োজিত সিলেটে আজ স্বাধীনতার মহান স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী, এনডিসি প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নাজমীন ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সিলেট অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর মো. আব্দুল মান্নান খান। জেলা তথ্য অফিসের উপপরিচালক মো. সালাহ উদ্দিন উক্ত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোসাম্মৎ রোকসানা বেগম এবং শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রফেসর আনজুমান আরা বেগম বিশেষ বক্তব্য প্রদান করেন।
স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের প্রতিনিধি। তিনি তাঁর জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত অন্যায়-অবিচার ও শোষণের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। বাঙ্গালি জাতির হাজার বছরের অতীতের গ্লানি মোচনে তিনি অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর এ অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতেই তাঁকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে উল্লেখ করে বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী আরো বলেন, এই কোমলমতি শিক্ষার্থীরাই আগামীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কারিগর। দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে নিজের মধ্যে ধারণ করতে তোমাদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে যাতে তোমরা আগামীর স্মার্ট নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারো। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ২০৪১ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীরাই হবে আগামীর শক্তিশালী হাতিয়ার। স্বাধীনতাকে বুকে ধারণ করে কঠিন অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে নিজেদেরকে আগামীর পৃথিবীর জন্য উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান তিনি।