
-নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু। ছবি: ইন্টারনেট ও বহুমাত্রিক.কম
ইতিহাসের পরিক্রমায় সাত দশক সময় নিতান্তই সামান্য। হাজার হাজার বছর ধরে আদি ও অকৃত্রিম যে ভারতবর্ষ বিশ্বের বিস্ময় হয়ে শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষণা করে আসছিল সেই বহুবৈচিত্র্যের বাসভূমিতে অনৈক্য আর অনাসৃষ্টির সূচনা ঘটে ঔপনিবেশিক শক্তির হাত ধরেই। স্বীকার করতেই হবে-নিপীড়ন আর নিষ্পেষণে জর্জরিত হয়েও ভারতবর্ষ বৈচিত্র্যের যে ঐক্যকে লালন করে আসছিল একজন সুভাষচন্দ্র বসু ছিলেন তাঁর উজ্জ্বলতম প্রতিনিধি। পরাধীন ভারতবর্ষের পূর্ণ-স্বরাজের দাবিতে সোচ্চার জাতীয় কংগ্রেসের দুই বারের সভাপতি শ্রী সুভাষচন্দ্র বসু ইতিহাসের জঘন্যতম চক্রান্ত আর ষড়যন্ত্রকে প্রবল বিক্রমে মোকাবেলা করে নিজ লক্ষ্যে এগিয়ে ডেতে পেরেছিলেন বলেই আমরা সাত দশক পরেও তাঁর বন্দনায় ব্যাকুল হই।
ভারতের মুক্তির অভিযান পরিচালনা করা আজাদ হিন্দ ফৌজের সর্বাধিনায়ক ও আর্জি-হুকুমত-ই আজাদ হিন্দ সরকারের প্রধান নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মের ১২৫ বর্ষ এ বছর সাড়ম্বরে উদযাপিত হচ্ছে। তাঁর আপোষহীন সংগ্রাম ও দেশপ্রেমের ললিতবাণী কেবল আজকের ভারতেই নয়, খ-িত ভারতের আজকের স্বাধীন বাংলাদেশেরও উচ্চকিত হচ্ছে। তাঁর আদর্শকে বহন করে তরুণদের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে ‘নেতাজী জনচেতনা যাত্রা’। এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আমরা খুঁজে ফিরছি, অধুনা ‘বঙ্গ’ প্রদেশে নেতাজীর স্মৃতি কোথায় কোথায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আমরা অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করছি, আজকের বাংলাদেশের কত নিভৃত জনপদেই না তিনি তাঁর পূণ্যপদর্স্প দিয়েছেন কৃপা করে। স্বাধীনতা সংগ্রামের এই মহানায়ক সুবৃহৎ ভারতবর্ষের এহেন অঞ্চল নেই যে তিনি সেখানে যাননি!
প্রকাশ্যে মাত্র দুই দশকের রাজনৈতিক জীবনে তিনি যেভাবে গোটা ভারতবর্ষকে একবৃন্তে গেঁথে দিতে পেরেছিলেন, উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছিলেন অভিন্ন ভারতীয় খাঁটি জাতীয়তাবাদে; সেহেতু আমাদের একথা অত্যুক্তি হবে না-নেতাজী সুভাষ ভারতমাতার আশীর্বাদে হাজার হাজার বছরের পরম্পরাকেই সার্থক করেছিলেন। আদি ও অকৃত্রিম ভারতবর্ষের তিনিই তো সত্যিকারের বরপুত্র।
নেতাজী জনচেতনাযাত্রার অন্বেষণে বাংলাদেশের এমন এক জনপদের সন্ধান আমরা পেয়েছি যেখানে দুর্গম পথ পেরিয়ে নেতাজী গণমানুষের কাছে পৌছেছিলেন মুক্তির চেতনাকে উজ্জীবিত করতে। বলছিলাম বৃহত্তর ময়মনসিংহের অন্যতম জনপদ আজকের নেত্রকোণা জেলার কথা। আমরা তথ্যানুসন্ধানে জানতে পারছি, তদানীন্তন পূর্ববঙ্গের বড় শহর ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা কিংবা রবিশালেই শুধু তিনি আসেননি-পাহাড় আর জলাভূমি ঘেরা নেত্রকোণাতেও তিনি এনেছিলেন।
ঐতিহাসিক বিভিন্ন গ্রন্থ, খ্যাতিমান ব্যক্তিদের আত্মজীবনী এবং প্রবীণদের সঙ্গে কথা বলে নেতাজীর নেত্রকোণা সফরের তথ্যটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তথ্যমতে, ১৯৩৯ সালের ১৫ মার্চ ফরওয়ার্ড ব্লকের এক কৃষক সম্মেলনে যোগ দিতে নেত্রকোণায় এসেছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। নেতাজীর নেত্রকোণা সফরে তাঁর সঙ্গী হয়েছিলেন অল ইন্ডিয়া কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মানবেন্দ্র নাথ রায়, তিনি এম এন রায় নামেই সমধিক পরিচিত ছিলেন।
ঘৃত ঘরের পেছনে অবলুপ্ত এক কাছারী ঘরে বিশ্রাম নিয়েছিলেন নেতাজী। সম্প্রতি নেতাজী-বঙ্গবন্ধু জনচেতনা যাত্রা বাস্তবায়ন কমিটি স্থানটি পরিদর্শন করে
প্রবীণদের স্মৃতিচারণে
নেত্রকোণার প্রাক্তন সাবেক সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাস এ প্রসঙ্গে জানাচ্ছেন, ‘১৯৩৯ সালে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু আমাদের নেত্রকোণায় আসেন ফরওয়ার্ড ব্লকের সভা করার জন্য। তখন আব্দুল মজিদ এমপি (তারামিয়া), যতীশ জোয়ার্দার সহ অনেকেই ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতৃত্বে দিচ্ছিলেন। এই সভাটা হয়েছিল নেত্রকোণা শহরের বালক সাহার গুদামে। সেখানে কলকাতার মেয়র এবং পরবর্তীতে বেঙ্গল গভমেন্টের অর্থমন্ত্রী আমাদের কেন্দুয়ার কৃতি সন্তান নলিনী রঞ্জন সরকারও উপস্থিত ছিলেন।’
নেতাজীর ভারত মুক্তির অভিযানে নেত্রকোণার বহু তরুণের অংশগ্রহণের তথ্য জানিয়ে প্রাক্তন এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, ‘নেতাজীর আজাদ হিন্দ ফৌজে আমাদের নেত্রকোণা থেকে অনেকেই যোগদান করেছিলেন সৈনিক হিসেবে। তাদের নামগুলো ঠিক মনে পড়ছে না। এমনকি নেতাজীর রাজনৈতিক দর্শনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেশ প্রভাবিত ছিলেন।’
নেত্রকোণায় নেতাজীর আসা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, নেত্রকোণার সভাপতি নির্মল কুমার দাশ বলেন, ‘তখন যোগাযোগের মাধ্যম ছিল ট্রেন। তিনি (নেতাজী) ট্রেনযোগে নেত্রকোণা আসেন এবং বড় স্টেশনে নামেন।’
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ননী গোপাল সরকার বলেন, ‘আমি আমার বাবার মুখে শুনেছিলাম, সেইদিন বাবা কাকতালীয়ভাবে কি একটা কাজে নেত্রকোণা আসেন। তখন উনার বয়স ছিল পনের। তিনি দেখেছিলেন, বেঙ্গল গভমেন্টের অর্থমন্ত্রী নলিনী রঞ্জন সরকার একটি রিক্সা টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই রিক্সায় বসা ছিলেন স্বয়ং নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু এবং এম এন রায়। ভিড় ছিল উপচে পড়া। নেতাজী হাত নেড়ে সকলকে অভিবাদন জানাচ্ছিলেন।’
একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী বলেন, ‘আমি তখন কলকাতায় ছিলাম বাবার কর্মক্ষেত্রের জন্য। তবে নেত্রকোণায় বাবা প্রায়ই আসতেন। বাবার কাছে শুনেছি নেতাজী সুভাষ বসু নেত্রকোণায় ফরওয়ার্ড ব্লকের সভা করার জন্য আসেন। সভার স্থানটি ছিল বালক সাহার গুদাম।” হায়দার জাহান চৌধুরীর পিতা একুশে পদকপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক প্রয়াত খালেকদাদ চৌধুরী, যিনি ছিলেন নবযুগ পত্রিকার সহ-সম্পাদক, এই পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
হায়দার জাহান চৌধুরী বলেন, ‘ওই সভায় (নেতাজীর যোগদানকৃত সভায়) আবদুল মজিদ এমপি (তারামিয়া), যোগেন্দ্র তালুকদার, জগদীশ দত্ত, মৌলভী আবদুল হান্নান, শহীদ মিয়া (বালী গ্রামের), আব্বাস খান (বর্তমান নেত্রকোণা পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খানের পিতা), মিরাজ মিয়া (মেদিনী), নকুল সিংহ (উকিলপাড়া), সুধীর মজুমদার প্রমুখ ব্যক্তিগণ সভার স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।’ এখানে উল্লেখ্য, জগদীশ দত্ত, আব্দুল মজিদ এমপি (তারামিয়া), সুধীর মজুমদার নেতাজী প্রতিষ্ঠিত ফরওয়ার্ড ব্লকের সদস্য ছিলেন।
মহেশ্বরখিলা গ্রামে আজাদ হিন্দ সেনানী সুরেন্দ্র কিশোর সোমের সমাধিসৌধে নেতাজী-বঙ্গবন্ধু জনচেতনা যাত্রা বাস্তবায়ন কমিটির শ্রদ্ধা
নেত্রকোণায় আজাদ হিন্দ ফৌজের সেনানির সমাধির খোঁজ
নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর পদস্পর্শে ধন্য নেত্রকোণায় আজাদ হিন্দ ফৌজের এক বীর সেনানীর সমাধির খোঁজ মিলেছে অনুসন্ধানে। জানা গেছে, জেলার আটপাড়া উপজেলার মহেশ্বরখিলা গ্রামের সুরেন্দ্র সোম নেতাজীর আজাদ হিন্দ ফৌজের সৈনিক ছিলেন। উনার পুরো নাম সুরেন্দ্র কিশোর সোম। তাঁর পিতা রাজেন্দ্র কিশোর সোম স্থানীয় জমিদার ছিলেন। সুরেন্দ্র কিশোর সোম ১৯৮৯ সালে নিজ বাড়িতেই মৃত্যুবরণ করেন। পারিবারিকভাবেই উনার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয় নিজের ব্যক্তিগত পুকুরের পূর্ব পাশে। সেখানে এখন একটি সমাধিস্থল করে রাখা হয়েছে।
প্রয়াত আজাদ হিন্দ সেনানী সুরেন্দ্র কিশোর সোমের ভ্রাতুষ্পুত্র সনদ সোম এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘জেঠুর সাথে অনেকটা সময় আমি কাটিয়েছি। তিনি যখন কলকাতায় তখন পেশায় আইন ব্যবসায়ী ছিলেন। বাড়িতে এসে ব্যাংকিং পেশায় অর্থাৎ লোন অফিসে যুক্ত হন। উনার মুখে প্রায়ই ‘বন্দেমাতরম’ ‘জয় হিন্দ’ শুনতাম। শুনেছি এটা ছিল উনাদের আন্দোলনের স্লোগান। তিনি সবসময়ই আন্দোলনের খবরাখবর রাখতেন এবং প্রায়ই নেতাজী সম্পর্কে কথা বলতেন। মধুয়াখালী পোস্ট অফিসে উনার নামে ক্ষুদে বার্তা বা চিরকুট আসতো। এইগুলা আসলে উনাকে গোপনে দিয়ে যাওয়া হত কিংবা উনাকে খবর দেওয়া হত। এইগুলো পেয়েই তিনি বিভিন্ন জায়গায় বের হতেন।’
সনদ সোম বলে, ‘জেঠুর সকল কাগজপত্র উনার ট্রাঙ্কেই ছিল। একবার আমাদের বাড়িতে ডাকাতি হয়। সেইসময় ডাকাতরা ঘরের সবকিছু নিয়ে যায়। এমনকি পরদিন স্নান করে যে আরেকটা কাপড় পরবো তারও ব্যবস্থা ছিল না। ফলে সকল ডকুমেন্টস আমারা হারিয়ে ফেলেছি। তবে উনার কাছে একটা খদ্দরের চাদর ও একটা টুপি থাকতো। টুপিটা নাকি উনার আন্দোলনের। এইগুলো তিনি কখনোই হাতছাড়া করতেন না।’
বাংলাদেশ রাইফেলস এর অবসরপ্রাপ্ত জেসিও (নায়েব সুবেদার, ক্লার্ক) এবিএম গোলাম মোর্শেদ খান বলেন, ‘নেতাজী সভায় যোগদান করার পূর্বে বর্তমান ছোট বাজারস্থিত ঘৃতঘরে খানিক বিশ্রাম করেন।’ যদিও বর্তমান ঘৃত ঘরের মালিক বাদল ঘোষ বলেন, ‘এই ঘৃত ঘরের পিছনে একটি কাছারি ঘর ছিল। এই কাছারি ছিল তাড়াইলের তালজঙ্গার জমিদারদের। এই কাছারি ঘরে বসেই নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু বিশ্রাম করেছিলেন এবং গল্পে মেতে উঠেন বলে শুনেছি।’
উল্লেখ্য, তাড়াইলের তালজাঙ্গা জমিদার বাড়িটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন জমিদার রাজ চন্দ্র রায়। যিনি ছিলেন শিক্ষিত জমিদার, তখনকার সময়ের এম.এ.বি.এল ডিগ্রীপ্রাপ্ত উকিল ছিলেন। জমিদারি শেষ হয় তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। জমিদার বাড়ির জমিদার হন তার ছেলে মহিম চন্দ্র রায়। মহিম চন্দ্র রায়ও বাবার মত ছিলেন শিক্ষিত এবং এম.এ.বি.এল ডিগ্রীপ্রাপ্ত একজন উকিল। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হলে এই জমিদার বাড়ির জমিদারির সমাপ্তি ঘটে। জমিদার রাজ চন্দ্র রায়ের নাতি বা জমিদার মহেন্দ্র রায়ের ছেলে নৃপেন্দ্র চন্দ্র ও তার ৭ ভাই মিলে ভারতের কলকাতায় চলে যান এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। বর্তমানে সংরক্ষণের অভাবে তালজাঙ্গা জমিদার বাড়িটির বেহাল দশা বিরাজমান।
নেত্রকোণায় নেতাজী স্মৃতি সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে পৌরসভা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এক আলোচনা। যেখানে প্রশাসনের কর্তব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিরা যোগ দেন।
উদ্যোগ নেয়া হয়নি নেতাজী স্মৃতি সংরক্ষণের
স্থানীয় প্রবীণ চাঁন মোহন রায়। পেশায় ওষুধ ব্যবসায়ী ছিলেন। বর্তমান বড় বাজার এলাকায় অন্নদা মেডিকেল হল নামে তাঁর ওষুধের দোকান। তিনি বলেন, ‘নেতাজী বালক চন্দ্র সাহার পাট গুদামে সভায় বক্তৃতা দেন। বালক সাহার গুদাম ছিল বর্তমান সুইপার কলোনীর এইদিক থেকে শুরু করে উকিলপাড়া পর্যন্ত।’
অবশ্য সুইপার কলোনী নামটি লোকমুখে প্রচলিত। এর মূলত নাম উকিলপাড়া। ইতিহাসের সাক্ষী বালাক সাহার গুদামের শেষ পরিণতি সম্পর্কে বর্তমান পূর্ব চকপাড়া এলাকার লাল মিয়া বলেন, ‘একবার বালক সাহার গুদামে ‘রূপবান’ যাত্রা পালার আয়োজন করা হয়। আর সেখানে উপচে পড়া ভিড়। এতো মানুষ জমায়েত হয়েছিল যে, তা কল্পনাতীত। হঠাৎ হুড়মুড় আওয়াজে বালাক সাহার গুদাম উৎসুক জনতা ভেঙে ফেলে।’
নেতাজী নেত্রকোণায় প্রসঙ্গে স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত প্রাবন্ধিক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক যতীন সরকার বলেন, ‘১৯৩৯ সালে তখন আমার বয়স ছিল তিন বছর। তবে ১৯৪৬ সালে ২৩ জানুয়ারি বালক সাহার গুদামে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তখন আমার বয়স ছিল দশ বছর। আমি আমার এক দাদার সাথে এই অনুষ্ঠানে এসেছিলাম।”
অধ্যাপক ননী গোপাল সরকারের আবাস আর্যগৃহে বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী এবং অধ্যক্ষ আনোয়ার হাসানের সঙ্গে আলাপচারিতায় হায়দার জাহান চৌধুরী বলেন, ‘ব্রিটিশদের পর পাকিস্তানি সেনারাও আজাদ হিন্দ ফৌজের সদস্যদের খুঁজে বেড়াত। এমনকি শুধুমাত্র সন্দেহের বশে অকথ্য নির্যাতন করতো। এইসব আমার চোখে দেখা।’
সম্পাদনা: আশরাফুল ইসলাম
বহুমাত্রিক.কম