
ছবি- সংগৃহীত
তিব্বতি বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাবশালী নেতা দালাই লামা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তিনি এই ধর্মের শেষ নেতা নন। সম্প্রতি এক বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘তিব্বতি বৌদ্ধ ধর্ম দীর্ঘ ইতিহাস ও সংস্কৃতির ধারক। আমি নিশ্চিত, আমার পরেও এই ধর্মের নেতৃত্ব অব্যাহত থাকবে।’
৮৯ বছর বয়সী দালাই লামা বর্তমানে ভারতে নির্বাসিত অবস্থায় রয়েছেন। ১৯৫৯ সালে চীনা দমননীতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহের পর তিনি তিব্বত ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। তখন থেকেই তিনি তিব্বতের স্বাধীনতা ও ধর্মীয় অধিকার রক্ষার আন্দোলনে বিশ্বব্যাপী মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত।
দালাই লামা আরও বলেন, ‘ধর্মীয় নেতৃত্ব ব্যক্তির উপর নির্ভরশীল নয়, এটা একটি ধারাবাহিক ঐতিহ্য। তিব্বতি জনগণের ইচ্ছা ও প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করেই ভবিষ্যতের দালাই লামা নির্ধারিত হবেন।’
চীন সরকার অবশ্য বারবার দাবি করেছে, ভবিষ্যতের দালাই লামা বেছে নেওয়ার অধিকার তাদেরই রয়েছে। তবে তিব্বতি জনগণ ও ধর্মীয় নেতারা এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, দালাই লামার এই ঘোষণার মাধ্যমে তিনি তিব্বতি সংস্কৃতি ও ধর্মীয় চেতনার টিকে থাকার বার্তা দিলেন, যা রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এটি চীনের একতরফা নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধেও এক ধরনের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ।
তিব্বতি বৌদ্ধ ধর্মে দালাই লামা পুনর্জন্মের ধারায় বিশ্বাস করা হয়। তাই পরবর্তী দালাই লামা কে হবেন, তা নিয়ে আগাম আলোচনা এখন থেকেই শুরু হয়ে গেছে। তবে দালাই লামার এই ঘোষণা ভবিষ্যতের পথনির্দেশক হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে।