Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১, শনিবার ১৮ মে ২০২৪

জবি শিক্ষক সেকান্দারের বিরুদ্ধে বিচার চেয়েছে নীলদল

জবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:১৯, ৩ মে ২০২৪

প্রিন্ট:

জবি শিক্ষক সেকান্দারের বিরুদ্ধে বিচার চেয়েছে নীলদল

ফাইল ছবি

ফেসবুকে মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক আবু সালেহ সেকেন্দারের বিরুদ্ধে এবার বিচার চেয়েছে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীলদল।

শুক্রবার উপাচার্য বরাবর নীলদলের সভাপতি ড. মনিরুজ্জাম ও সাধারণ সম্পাদক ড. সিদ্দিকুর রহমান সাক্ষরিত এক আবেদনে শিক্ষক সেকান্দারের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

এতে নীলদল উল্লেখ করে, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. আবুল হোসেন একজন স্বনামধন্য শিক্ষাবিদ ও গবেষক। তিনি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও নীলদলের সভাপতি ছিলেন। তাকে নিয়ে শিক্ষক আবু সালেহ সেকেন্দার ফেসবুকে একেরপর এক মিথ্যা পোস্ট দিয়ে যাচ্ছেন। ড. আবুল হোসেন তিনি নাকি তথ্য গোপন করে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের পিএইচডি থিসিস মূল্যায়ন কমিটির সদস্য হয়েছেন। বিষয়টি একেবারেই মিথ্যা। গবেষণা সেমিনারটি ছিল উন্মুক্ত। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর যে কেউ অংশগ্রহণ করতে পারেন। এতে কোন বাঁধা নেই।

অভিযোগে নীলদল আরো জানায়, সালেহ সেকেন্দার প্রতিনিয়তই অধ্যাপক আবুল হোসেনের পারিবারিক ও ব্যক্তিগত বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ও কুৎসা রটাচ্ছেন, যা সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকুরীরত কেউ করতে পারেন না। এছাড়া তিনি একাধিক সিনিয়র শিক্ষককে নিয়ে মিথ্যা ও অশালীন পোস্ট দিচ্ছেন। এরূপ কর্ম শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এতে ড. আবুল হোসেনসহ ইসলামের ইতিহাস বিভাগের একাডেমিক কমিটি, সংশ্লিষ্ট ফেকাল্টি কমিটি, বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটকে প্রশ্নবিদ্ধ ও সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে।  জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে এর একটি সুরাহা হওয়া আশু প্রয়োজন। আবু সালেহ সেকেন্দারের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।

আরো উল্লেখ করা হয়, মাস্টার্স পরীক্ষার থিসিস মূল্যায়নে জালিয়াতি, কোর্স শিক্ষক হিসেবে নারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অপচেষ্টা ইত্যাদির অভিযোগে ২০১৫ সালে একাডেমিক কমিটি তাকে থিসিস গাইড, ক্লাস-পরীক্ষা এবং যাবতীয় কর্মকান্ড হতে অব্যাহতি দিয়ে একাডেমিক কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট বিচার প্রার্থণা করে। একাডেমিক কমিটি মনে করে সেকান্দারের এরূপ আচরণ অশিক্ষকসুলভ, অনৈতিক ও অপরাধমূলক। একাডেমিক কমিটির সবাই তার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিদানের প্রয়োজনীয়-ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করছে।

এরআগে ফেসবুকে অশালীন পোস্ট দিয়ে সম্মানহানী করার জন্য গত ৩০ এপ্রিল আবু সালেহ সেকান্দারের বিরুদ্ধে উপাচার্যকে লিখিত অভিযোগ দিয়ে বিচার চান ডীন ড. আবুল হোসেন। এরপর গত ২ মে সেকান্দারের বিচারের জন্য উপাচার্যকে লিখিতভাবে জানান ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সকল শিক্ষক।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের নিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রীর সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অপ্রীতিকর অবস্থায় প্রক্টরিয়াল বডির কাছে আটকে পর বিয়ে, ক্লাসে প্রধানমন্ত্রীকে 'ভোট চোর'সহ কটুক্তি, ফেসবুকে ভিসি, ডীন, প্রক্টরসহ সিনিয়র শিক্ষকদের গালিগালাজের অভিযোগে  ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। এসব অভিযোগে শিক্ষক সেকান্দারের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সর্বশেষ সিন্ডিকেটে তদন্ত কমিটিকে খতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে।

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer