ছবি : বহুমাত্রিক.কম
খুলনা : আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ‘আমি নির্বাচিত হলে প্রথম কাজ হবে খুলনা মহানগরীকে মাদক ও চাঁদাবাজ মুক্ত করা। আমার সকল কাজে স্বচ্ছতা থাকবে।
তিনি বলেন, স্বচ্ছতার জন্যই তো আমি অনেকের কাছে অপ্রিয় ছিলাম। আমি মেয়র থাকা অবস্থায় চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম বন্ধ করে ছিলাম। আবার মেয়র নির্বাচিত হলে অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ করে দেব।’
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেস ক্লাবের হুমায়ন কবির বালু মিলনায়তনে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষনা অনুষ্ঠানে মেযর প্রার্থী এসব কথা বলেন।
এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, গত পাঁচ বছরে খুলনার উন্নয়ন থমকে গেছে। হাদিস পার্কের অবশিষ্ট কাজ,ময়ূর নদী ও লিনিয়ার পার্কের উন্নয়ন কাজে অনিয়ম হয়েছে। এগুলো তদন্ত করা হবে। মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) ছিল একটি দেনাগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান। নিজস্ব আয়ের তেমন কোন উৎস ছিল না। দায়িত্ব গ্রহণের পর বিভিন্ন উন্নয়ন খাত ও আয়ের উৎস সৃষ্টি করে ৫ বছরে সিটি কর্পোরেশন নিজের পায়ে দাঁড়ানোর মতো সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার সব ধরণের চেষ্টা করেছি। তার ফলও পাওয়া গেছে। কেসিসির রাজস্ব আদায় ও আয় অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছিল।
তালুকদার খালেক বলেন,আমার দায়িত্ব গ্রহণকালে কেসিসিতে মহাজোট সরকারে আমলে ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে বিভিন্ন খাতে প্রায় ২শ’ ৭৫ কোটি টাকারও বেশি ব্যয় হয়েছে। আমার পূর্বের দেয়া নির্বাচনী ইশতেহারের অধিকাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। বিশেষ করে নগরীর রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ও জলাবদ্ধতা দূরীকরণে বেশ সাফল্য অর্জিত হয়েছিল। ২০১৩ সালের নির্বাচনে আমি নির্বাচিত হতে পারিনি তাই আমার অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি পুরোটা রক্ষা করার সুযোগ ছিল না। সংবাদ সম্মেলনে ১৫ মে’র নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে দোয়া ও ভোট প্রার্থীনা করে খালেক খুলনা মহানগরীকে পরিচ্ছন্ন ও আধুনিক নগরী গড়ে তোলার জন্য ৩১ দফার কর্মপরিকল্পনা প্রতিশ্রুতি ঘোষনা করেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ, নির্বাচন পরিচঅরনার প্রধান সমন্বয়কারী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এস এম কামাল হোসেন, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক কাজি আমিনুল হক, বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র ও বিসিবি পরিচালক শেখ সোহেল, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য এ্যাড. সোহরাব আলী সানা, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. শেখ বাহারুল আলম, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. সাইফুল ইসলাম, নগর যুবলীগের আহŸায়ক এ্যাড. আনিসুর রহমান পপলু প্রমুখ।
বহুমাত্রিক.কম