গাজীপুর : স্বামীকে না জানিয়ে বেড়ানো যাওয়াই ছিল কবিতার অপরাধ। বেড়ানোর অপরাধে তাকে প্রাণ দিতে হলো। কান্নাজড়িত কন্ঠে এমনটিই বলছিল স্বামীর হাতে খুন হওয়া কবিতা রাণী (২৭) এর মা সুনিতা রাণী।
তিনি জানান, গত শুক্রবার কারখানা ছুটি থাকায় বড় মেয়ের জামাই, বড় মেয়ে ও নাতী-নাতনীদের সাথে বেড়াতে যায় কবিতা। কিন্তু রাতে যখন বাড়িতে ফিরে আসে তখন স্বামী বাপ্পির সাথে এ নিয়ে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে বাপ্পি কবিতাকে মারধর করে।
পরের দিন শনিবার সকালে কবিতা তার মেয়ে তুলিকে হিজলহাটি এলাকায় তার স্কুলে নিয়ে যায়। পরে দুপুর ১২টার দিকে স্কুল থেকে মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে হিজলহাটি এলাকার তাদের ভাড়া বাসায় আসলে স্বামীর সাথে আগের দিনের বিষয় নিয়ে পুনরায় ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে কবিতা তার ছেলে তজুকে কুলে নিয়ে বাসার বাহিরে আসে। এসময় পেছন থেকে কবিতার স্বামী বাপ্পি তাকে পেছন থেকে কাঠের টুকরা দিয়ে মাথায় সজোরে আঘাত করে।
এতে কবিতা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা কবিতাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। কবিতা মৃত্যুর বিষয়টি বাপ্পি জানতে পেরে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ কবিতার মৃতদেহ উদ্ধার এবং বাপ্পিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
নিহত কবিতা নড়াইল সদর উপজেলার বেলাহাটি গ্রামের নির্মল গুপ্তদাসের মেয়ে এবং একই উপজেলার পুড়াবাদুরিয়া গ্রামের সত্যবান দাসের ছেলে বাপ্পি দাসের স্ত্রী। তারা উভয় গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার হিজলহাটি এলাকায় জনৈক আনোয়ার হোসেন এর বাড়িতে ভাড়া থেকে বাড়ইপাড়া এলাকার তানজিলা টেক্সটাইলে এ চাকুরি করতো কবিতা এবং বাপ্পি ওয়ালটন এ দিনমজুরের কাজ করতো।
উল্লেখ্য, গতকাল (শনিবার) দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার হিজলহাটি এলাকায় স্বামীর হাতে খুন হয় কবিতা রাণী।
বহুমাত্রিক.কম