বগুড়া : বগুড়ায় ছাত্রী ধর্ষণ ও নির্যাতনকারী তুফান সরকারকে অবশেষে গাজপুরের কাশিমপুর কারাগারের হাই সিকিউরিটিজ সেলে স্থানান্তর করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে কঠোর নিরাপত্তায় বগুড়া থেকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের হাই সিকিউরিটিজ সেলে পাঠানো হয়।
কারাগারে প্রবেশের পর থেকেই তুফান সরকারের রাজকীয় জীবন যাপন এবং বিভিন্ন কেলেংকারী ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়া এবং পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশের প্রেক্ষিতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাকে বগুড়া থেকে কাশিমপুরে পাঠানো হয়েছে বলে বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে।
এদিকে তুফান সরকারের কারাগারে রাজকীয় জীবনযাপনের কেলেংকারী ঘটনা তদন্তে শনিবার রাজশাহীর ডিআইজি প্রিজন আলতাফ হোসেন বগুড়ায় এসেছেন এবং অফিসিয়ালী তদন্তের কাজ শুরু করেছেন।
উল্লেখ্য সোনালী আকতার নামে সদ্য এসএসসি পাস এক সুন্দরী তরুনীকে ভাল কলেজে ভর্তি করানো সহ জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভে সব ধরণের সহযোগিতার প্রলোভনে ১৭ জুলাই ধর্ষন করে তুফান সরকার । এর ১০ দিন পর ধর্ষিতা ওই তরুনী ও তার মাকে তুফানের স্ত্রী আশা সরকার , শাশুড়ি রুমি খাতুন , শ্যালিকা ও পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান রুমকি তাদের সহযোগিদের দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় ব্যাপক শারীরীক নির্যাতন করে । সেই সাথে নাপিত ডেকে এনে তাদের চুল কেটে মাথা ন্যাড়া দেয়া হয় ।
ঘটনার পরপরই ওই মা’ ও মেয়ে চিকিৎসার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ তুফান সরকারকে তিন সহযোগি সহ গ্রেফতার করে । পরে ধর্ষিতা মেয়ের জবানবন্দী অনুযায়ী মামলা দায়েরের পর তুফান সরকারের স্ত্রী, শাশুড়ি ও শ্যালিকা সহ ১০ জন তালিকা ভুক্ত আসামীর ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে।
অপরদিকে আদালতের নির্দেশে ধর্ষিতা তরুণী ও তার মা’কে রাজশাহীর সেফ হোম ও ভিকটিম সাপোর্ট পাঠানো হয়। তা সত্বেও বিভিন্ন প্রভাব খাটিয়ে বগুড়া জেলে তুফান সরকারের চলে রাজকীয় জীবন যাপন আর ফেন্সিডিল খাওয়া। এসব কেলেংকারী ঘটনা পত্র পত্রিকায় প্রকাশ হলে অবশেষে কারাকর্তৃপক্ষ তাকে কাশিমপুর কারাগারের হাই সিকিউরিটি সেলে প্রেরণ করে।
বহুমাত্রিক.কম