এইচএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় মানিকগঞ্জ, খুলনা ও পঞ্চগড় জেলায় তিন কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার সকালে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার কুস্তা গ্রামে এইচএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় মিতু আক্তার নামে এক শিক্ষার্থী ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন। মিতু ওই গ্রামের কৃষক ও শস্য বেপারী মোসাদ্দেক হোসেনের মেয়ে।
পরিবারের লোকজনের বরাত দিয়ে ঘিওর থানার ওসি রবিউল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকালে বাড়ির লোকজনের অলক্ষ্যে মিতু ঘরে থাকা ইঁদুর মারার বিষ পান করে। পরে পরিবারের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে দ্রুত ঘিওর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন। ঢাকায় নেয়ার পথে মিতুর মৃত্যু হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর মহসিন মহিলা কলেজের ছাত্রী ঐশর্য্য রায় (১৮) গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। সে দৌলতপুর মানিকতলা সিএসডি গোডাউন এলাকার বাবুল রায়ের মেয়ে।
দৌলতপুর থানার ওসি কাজী মোস্তাক আহমেদ জানান, পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে ঐশর্য্য রায় ঘরের সিলিংয়ের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। অন্যদিকে পঞ্চগড়ে এইচএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় শাবনুর আক্তার (১৯) নামে এক পরীক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। সে পূর্ব জালাসী এলাকার রফিকুল ইসলামের মেয়ে।
পঞ্চগড় থানার ওসি রবিউল হাসান সরকার জানায়, পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে শাবনুর দ্বিতীয়বারের মতো অকৃতকার্য হন।পরে শাবনুর নিজ ঘরের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তৌহিদ হাসান তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সূত্র: ইউএনবি