ঢাকা : এভিয়েশন ও মহাকাশ প্রযুক্তিতে দক্ষ জনবল তৈরিতে আজ থেকে যাত্রা শুরু করছে দেশের প্রথম এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈমানিক ও উড়োজাহাজ প্রকৌশলবিদ্যার সঙ্গে মহাকাশ গবেষণা, উড়োজাহাজ নির্মাণ, মেরামত ও স্যাটেলাইট তৈরিতে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পুরোনো ভবনের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে সোমবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষা কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
দেশের তিনটি ফ্লাইং একাডেমিতে শুধু বৈমানিক হওয়ার প্রশিক্ষণ মেলে। ব্যয়বহুল এই প্রশিক্ষণ নেয়ার সামর্থ্য নেই সবার। এসব প্রতিষ্ঠানে এভিয়েশনে উচ্চতর শিক্ষা বা গবেষণার সুযোগও নেই। সেই প্রেক্ষাপটেই দেশের প্রথম এভিয়েশন ও অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হচ্ছে।
প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে চার হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ৭৮ জন সুযোগ পেয়েছেন এখানে পড়ার।একজন শিক্ষার্থী বলেন, সবাইতো উড়তে চায়। কিন্তু সবার স্বপ্নটা হয়তো পূরণ হয় না।
প্রাথমিকভাবে তিনটি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি চালু করা হলেও আগামী ২০ বছরে ৭টি অনুষদ ও চারটি ইনস্টিউটসহ হবে ৩৭টি বিভাগ। এখান থেকে পাইলট ও প্রকৌশলীরা একই সঙ্গে পাবেন প্রাতিষ্ঠানিক ও পেশাগত সনদ।
এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এয়ার ভাইস মার্শাল এএইচএম ফজলুল হক বলেন, দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টি হবে। এবং একটা আধুনিক প্রযুক্তির উন্নতি হবে আমাদের। আমরা আশা করছি, আমাদের স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা যেটি ৩ বছরের সেটির মধ্যেই বিমান তৈরি শুরু করতে পারব। এবং ইউরোপের কিছু দেশ আমাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পরিত্যক্ত লালমনিরহাট বিমানবন্দরে হবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস। এ বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে লালমনিরহাটে গড়ে তোলা হবে এভিয়েশন সিটি।