Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ১২ ১৪৩১, শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪

কেসিসিতে কোন অনিয়ম, দুর্নীতি মেনে নেয়া হবে না : খালেক

শেখ হেদায়েতুল্লাহ, খুলনা

প্রকাশিত: ২১:০৭, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

আপডেট: ০০:০০, ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯

প্রিন্ট:

কেসিসিতে কোন অনিয়ম, দুর্নীতি মেনে নেয়া হবে না : খালেক

ছবি : বহুমাত্রিক.কম

ঢাকা : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে গত ১০ বছরে উন্নয়নের যে পর্যায়ে নিয়ে গেছেন তা কোন অবস্থাতেই ব্যর্থ হতে দেব না। কেসিসিকে সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের যোগ্য করে গড়ে তোলা হবে। কেসিসিতে কোন অনিয়ম, দুর্নীতি মেনে নেয়া হবে না। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নব নির্বাচিত মেয়র আওয়ামী লীগ খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক মঙ্গলবার মেয়র দায়িত্বগ্রহণের পূর্বে এ কথা বলেন।

নব নির্বাচিত মেযর বলেন, খুলনার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিক। ইতোমধ্যে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ৮২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। যে অর্থ ব্যয় হবে নগরীর মধ্য দিয়ে বয়ে চলা খাল, জলাশয় ও ড্রেণেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন। এ কাজ করতে যে কোন প্রতিবন্ধকতা কঠোরভাবে দমন করা হবে। নগরীর মধ্য দিয়ে বয়ে চলা খালে দখলবাজদের উচ্ছেদ করা হবে। তাই দখলবাজ যতই প্রভাবশালী হোক না কেন। আর যে ধরনের স্থাপনা থাকুক না কেন সেটি উচ্ছেদ করা হবে।

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মূখ্য নির্বাহি কর্মকর্তা পলাশ কান্তি বালার সভাপতিত্বে দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিদায়ী মেয়র মনিরুজ্জামান মনির উদ্দেশ্যে তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, এই হস্তান্তর অনুষ্ঠানে না এসে ভুল করেছেন। তুচ্ছ কারণে আপনি অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত রয়েছেন। এর হিসাব নগরবাসীকে আপনার দিতে হবে।

তিনি বলেন নগরবাসীর প্রতি আপনি প্রতারণা করেছেন। আপনি বলেছেন দল ক্ষমতায় না থাকায় নগরীরর উন্নয়নে বরাদ্দ বঞ্চিত হয়েছেন। বরাদ্দ আনতে হলে দলের সরকার নয় নিজের যোগ্যতা লাগে। খুলনাবাসী একজন অযোগ্য মেয়রের কবল থেকে কেসিসিকে রক্ষা করেছেন। বিগত সময়ে সরকার কেসিসির উন্নয়নে প্রায় ৮ শত কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। সেই টাকা কোথায় কিভাবে ব্যয় হয়েছে তার প্রতিটি পয়সার হিসেব নেয়া হবে।

এ থেকে কেউ রেহাই পাবেন না। তিনি বলেন নগরবাসীর উন্নয়নে ন্যায় ও সততার সাথে কাজ করতে চাই। কোন লোভ বা দুর্নীতি যেন আমাকে গ্রাস করতে না পারে এ জন্য সকলের প্রতি তিনি দোয়া চান।

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নব নির্বাচিত মেয়র বেলা ৪ টা ২৫ মিনিটে বক্তব্য শুরু কওে ৪ টা ৪২ মিনিটে বক্তব্য শেষ করেন। এরপর ৪টা ৪৩ মিনিটে কেসিসির প্যানেল মেয়র ১ মোঃ আনিছুর রহমান বিশ্বাস তালুকদার খালেকের নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।

আমন্ত্রিত অতিথি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের নব নির্বাচিত মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, খুলনার মানুষের জন্য আজকের দিনটি খুব আনন্দের। কেসিসি নির্বাচনের পূর্বে খুলনায় জনসংযোগে এসে খুলনার মানুষের আশা আকাঙ্খা দেখেছি। তারা উন্নয়ন চেয়েছিল। খুলনার উন্নয়নে খুলনার মানুষ তাদেও যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে তালুকদার খালেককে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করেছে। এতেই প্রমাণিত হয় শেখ হাসিনার প্রতি খুলনার মানুষের আস্থা ও ভালবাসা রয়েছে। রাজশাহীর মেয়র এএই্চ এম খায়রুজ্জামান লিটন খুলনা ও রাজশাহীর মেয়রকে পূর্ন মন্ত্রীর পদমর্যাদা দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি দাবি জানান। তিনি এক্ষত্রে খুলনাবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুব হোসেন বলেন খুলনাবাসী তাদেও যোগ্য জনপ্রতিনিধি বেছে নিযেছেন। সেই যোগ্য মানুষটি হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত আস্থাভাজন তালুকদার আব্দুল খালেক।

তালুকদার খালেকের হাতে জাদু রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন মেয়রের চেয়ারে বসার আগেই ৮২৩ কেটি টাকার বরাদ্দ পেয়েছেন। এই অর্থ ব্যয় হবে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে। আরও ৬শ কেটি টাকা বরাদ্দ দেয়ার পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া খুলনা মহানগরীর সুপেয় পানির সঙ্কট দুর করতে ওয়াসা মধুমতি নদী থেকে পানি এনে তা নগরীতে সরবরাহ করবে। এ কাজ অর্ধেকের বেশি বাস্তবায়নের পথে। তিনি নগরীতে সুপেয় পানি সরবরাহে ওয়াসাকে কেসিসির সাথে সমন্বয় করে কাজ করার আহবান জানান।

বেলা তিনটা ১০ মিনিটে নগর ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে সুসজ্জিত মঞ্চে সিটি কর্পোরেশনের মুখ্য নির্বাহি কর্মকর্তা পলাশ কান্তি বালা অতিথিদের নিয়ে মঞ্চে আসেন। তিনটা ২০ মিনিটে কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের কাজ শুরু হয়। কোরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা রফিকুল ইসলাম। গীতা পাঠ করেন ভবেশ চন্দ্র সাহা।

বাইবেল পাঠ করেন রেভারেন্ড টমাস জয় সরকার। পরে নবনির্বাচিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেককে পুল দিয়ে বরণ করে নেন মুখ্য নির্বাহি কর্মকর্তা পলাশ কান্তি বালা। এরপর আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথি ও কাউন্সিলরদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মুখ্য নির্বাহি কর্মকর্তা পলাশ কান্তি বালা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন খুলনা- ২ আসনের সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, খুলনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হুমায়ূন কবীর পিপিএম, বাগেরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু, খুলনা বিবঅগীয় কমিশনার মোঃ লোকমান হোসেন মিয়া।

এছাড়া অন্যান্যেও মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, খুলনা- ৫ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ নুরূল হক, বাগেরহাট- ৩ আসনের সংসদ সদস্য তালুকদার খালেক পত্নী হাবিবুন্নাহার, খুলনা বিশ্বদ্যিালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. ফায়েক উজ্জামান, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালযের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর কাজী সাজ্জাদ হোসেন প্রমূখ।

বহুমাত্রিক.কম

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer