ছবি : বহুমাত্রিক.কম
কুমিল্লা : ‘সত্য-সুন্দর চর্চায় আমরা নির্ভীক, উৎসবের আলোয় রাঙাই দিক-বিদিক’- শীর্ষক স্লোগান নিয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সপ্তাহব্যাপী চলমান বাংলা সপ্তাহ-১৪২৬ এর পর্দা নেমেছে।
সোমবার(১৬সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলা বিভাগের সহযোগী সংগঠন ‘বাংলা ভাষা-সাহিত্য পরিষদ’ কর্তৃক আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় নবীন বরণ, বিদায় অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, পুরষ্কার বিতরণী ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলা সপ্তাহ-১৪২৬ উদযাপন করা হয়েছে।
বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মুহাম্মদ শামসুজ্জামান মিলকির সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিএম মনিরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা উৎসব-১৪২৬ এর আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম মাওলা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলা বিভাগের শিক্ষকমণ্ডলী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী তার বক্তব্যে বাংলা বিভাগকে বাংলা সংস্কৃতির ধারক ও বাহক উল্লেখ করে বলেন, `সপ্তাহব্যাপী এই আয়োজন বিভাগকে আরও গতিশীল করবে। আজকের প্রবীণ শিক্ষার্থীদের বিদায় ও নবীনদের বরণ তাদের জীবনের একটি মাইলফলক। এখান থেকে তারা নতুন প্রত্যাশায় জীবনকে এগিয়ে নিতে প্রত্যয় পাবে বলে আশা রাখি। `
সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রথম পর্যায়ে বাংলা বিভাগে নবাগত শিক্ষার্থীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করা হয়। শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে কয়েকজন তাদের আনন্দানুভূতি প্রকাশ করেন। নবীন শিক্ষার্থীদের বরণের পর আন্তঃব্যাচ ক্রিকেট, ফুটবল, কাবাডি, হাড়ি ভাঙাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।
তারপর বাংলা বিভাগের পঞ্চম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বিদায় অনুভূতি প্রকাশ করেন একে একে আবর্তনের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। দীর্ঘ পাঁচ বছর সময়কালের শেষলগ্নে এসে অনুভূতি প্রকাশে অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এ সময় এক বেদনাময় পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
সন্ধ্যার পর শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলা বিভাগের বিভিন্ন আবর্তনের শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সুস্থ বিনোদনের অন্যতম এক মাধ্যম হয়ে উঠে এই অনুষ্ঠান। নাচ, গান, আবৃত্তি, কৌতুক ইত্যাদির মিশেলে রাতের কুবি হয়ে উঠে পুরো বাংলা বিভাগময়।
এছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল যাত্রা `মহুয়া পালা`। আধ-ঘন্টাব্যাপী এই মনোজ্ঞ যাত্রা অনুষ্ঠান উপস্থিত প্রায় তিন শতাধিক দর্শককে মুগ্ধ করে রাখে শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত।
বহুমাত্রিক.কম