ঢাকা : শীতের তীব্রতা বাড়ছে উত্তরের জনপদে। এখন ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করলেও সূর্যের তাপ বিকিরণ ক্ষমতা কমতে থাকায় ডিসেম্বরের শেষে জেঁকে বসতে পারে শীত। হিমালয়ের প্রভাব বলয়ে অবস্থানের কারণে শীতপ্রবণ অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের জীবনে প্রতিবারই আসে নানা শঙ্কা নিয়ে। তবে এবার নানা প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন সরকারের স্বাস্থ্য ও জনপ্রশাসন।
সূর্যাস্ত থেকে পরদিনের ভোর। মাঝে রাতের কয়েকটা ঘণ্টা শীত এখনই দুর্ভোগ এনেছে উত্তরের গ্রামীণ জনজীবনে। আর্থ সামাজিক অবস্থার সঙ্গে মানুষের দুর্ভোগের স্তরেও আছে ভিন্নতা। প্রান্তিক মানুষ নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী শীত মোকাবেলা করে। তবে ছেঁড়া লেপ-কাঁথা আর খড়কুটোর আগুনই এ দুর্যোগ মোকাবিলার প্রধান অস্ত্র এ জনপদে।
ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে শীতপ্রবণ এ অঞ্চলে দিনের বেলা এখনও কিছুটা তাপ বিকিরণ করছে সূর্য। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে সক্রিয় হবে মৌসুমী বায়ু। এখন তাপমাত্রা ১০/১১ সেলসিয়াসে ওঠানামা করলেও তখন অনেক নেমে যাওয়ার পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া বিভাগ।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, শীতের কারণে বাচ্চারা যেন অসুস্থ না হয়। সেটা দেখতে হবে। আর বয়স্কদের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। তবে এবার আগাম প্রস্তুতির কথা জানায় কর্তৃপক্ষ।
শীত থেকে বাঁচতে প্রতি বছর খড়কুটোর আগুনে পুড়ে মরে অনেক মানুষ, কেউ দগ্ধ শরীরের অভিশাপ নিয়ে ধুঁকে ধুঁকে বাঁচে।