২০২১ সালের জুলাইয়ে টোকিও অলিম্পিক আয়োজনে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জাপান। জানিয়েছেন টোকিওর গভর্নর ইউরিকো কইকে। আইওসি প্রধান থমাস বাখের অলিম্পিক বাতিলের সম্ভাবনার বক্তব্যের একদিন পরই এমন মন্তব্য করলেন টোকিও প্রশাসনের সর্বোচ্চ এ ব্যক্তি। এদিকে, জাপানে ফুটবল, বেসবলসহ সব ধরণের খেলাধুলা পুনরায় চালু করতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ফেডারেশনগুলো।
করোনা, করোনা আর করোনা। পৃথিবী জুড়ে এখন এই একটাই শব্দের বিচরণ। আবির্ভাবের ৪-৫ মাস পেরিয়ে গেলেও, এখনো তাকে নিয়েই নিত্য দিন গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে মানব সভ্যতা। যদিও, আদৌতে কাজের কাজ খুব একটা হয়নি কিছুই। এখনো আবিষ্কার করা যায়নি এর ওষুধ কিংবা ভ্যাক্সিন।
তাই বলে কিন্তু বসে নেই দেশগুলো। লক ডাউন থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার কার্যক্রম শুরু করেছে অনেকেই। তবে, ভ্যাক্সিন আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত যে কিছুই আর আগের মতো হবে না তা বলা যায় হলফ করেই।
সে কারণেই কি না, একদিন আগে টোকিও অলিম্পিক নিয়ে নিজের আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন আইওসি সভাপতি থমাস বাখ। আগামী বছরও যদি আয়োজন নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়, তাহলে বাতিল করে দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন তিনি।
তবে, তার সঙ্গে একমত নয় স্বাগতিক জাপান। মন্ত্রী পরিষদ থেকে প্রতিবাদ আসার পর, এবার স্বয়ং টোকিওর গভর্নর কথা বলেছেন অলিম্পিক্স আয়োজনের পক্ষে। জানিয়েছেন নিজেদের প্রস্তুতির কথা।
তিনি বলেন আমাকে যদি এই মুহূর্তের কথা জিজ্ঞেস করেন, তাহলে আমি বলবো আমার পুরো প্রশাসন অলিম্পক্স আয়োজন নিয়ে কাজ করছে। অ্যাথলিটদের নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে প্রতিদিন নিত্য নতুন ধারণা নিয়ে পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তাই এখনই আয়োজন নিয়ে কোন নেতিবাচক কথা বলতে চাইনা
নিজেদের প্রস্তুতি নিয়ে আইওসি এবং বিভিন্ন দেশের সঙ্গে নিয়মিত কথা বার্তা হচ্ছে বলেও জানান টোকিও প্রশাসপনের সর্বোচ্চ এ ব্যক্তি। তবে, মানুষের জীবনকে হুমকিতে ফেলে কোন ইভেন্ট আয়োজন করা হবে না বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, আয়োজনগুলোর সঙ্গে আমরা একা জড়িত নই। এটা একটা বৈশ্বিক আসর। এখানে আরো অনেক স্টেকহোল্ডার আছে। সবার সঙ্গেই আমাদের কথা হচ্ছে। তবে, সবার আগে আমাদের করোনা ভাইরাস মোকাবিলা করতে হবে। এরপর বাকি কিছু নিয়ে ভাবা যাবে। আমরা একটি নিরাপদ অলিম্পিক আয়োজনে বদ্ধ পরিকর।
অলিম্পিকের পাশাপাশি, নিজেদের ঘরোয়া ফুটবল এবং বেসবল টুর্নামেন্ট নিয়েও আশাবাদী জাপান সরকার। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই সব কিছু আবারো চালু করা যাবে বলে মনে করেন তারা।