ফাইল ছবি
ঢাকা : ঢাকাতে শহরের যান্ত্রিকতায় একঘেয়ে জীবন দুর্বিষহ লাগে। মন চায় দেই ছুট। কোন সবুজ প্রকৃতির কাছে কিম্বা নদীর মোহনায়। এমন সবুজ প্রকৃতির নিবিঢ় ছায়াঘেরা উদ্যান হল “জিন্দা পার্ক, কমিউনিটি ভিলেজ”। ঢাকা থেকে ৩০০ফিট দিয়ে নরসিংদি যাওয়ার পথে “জিন্দা পার্ক, কমিউনিটি ভিলেজ”। নরসিংদির ৩০০ফিট পার হয়ে হাতের বামে, কাঞ্চন ব্রীজের আগে আরো প্রায় আধাঘন্টা আগানোর পড়ে হাইওয়ের ডানে একটা সানবোর্ডে লেখা “জিন্দা পার্ক, কমিউনিটি ভিলেজ”। সবুজের শ্যামলীমায় মনকে জিন্দা করতে জিন্দা পার্কের জুড়ি নেই।
এখানে গাড়ি পার্কিং ৫০/-,
এন্ট্রি ফি ১০০/-
বাহিরের খাবার নিলে ২৫/-
ভিতরের পরিবেশ : খুবই খুবই নিরিবিলি শান্ত সবুজ শুনশান। ভিতরে দূরে দূরে ঘড়বাড়ী, গরু ছাগল, হাঁস মুরগী, স্কুল, খেলার মাঠ, মসজিদ, সুন্দর একটা আধুনিক পাঠাগারও আছে। আরো কি কি আছে তা ছবি দেখলেই বুঝবেন। গরমে পুরা দিল ঠান্ডা করা একটা পরিবেশ যদিও আমি গেছিলাম মেঘলা দিনে।
আর এখানে ১৫-২০ জনের গ্রুপ নিয়ে গিয়ে খুব হই হুল্লোড করার জন্য উপযোগি। নিয়ম কানুন কড়া। এজন্যই নিরব শান্ত পরিবেশ। সো অনেকের কাছে এতো কষ্ট করে যেয়ে বোরিং লাগতে পারে। তবে ছবি তোলার জন্য ভালো প্লেস। বৃষ্টির পরে গেলে পরিবেশটা আরো সুন্দর।
যারা আশে পাশে থাকেন বা যাদের নিজস্ব গাড়ী আছে বা যাদের কাছে একেবারে নিরিবিলি শুনশান পরিবেশ পছন্দ, যাদের হাতে যথেষ্ট সময় আছে তাঁরা সময় করে ঘুরে আসতে পারেন, খারাপ লাগবে না।
নিজস্ব গাড়ী নিয়ে গেলে লোকেশন বলেই দিলাম, গুগল ম্যাপে জিন্দা পার্ক লিখে সার্চ দিলে আরো ভালোভাবে পাবেন।
এছাড়া কুড়িল ফ্লাই ওভারের নিচে ৩০০ ফিটের শেষ পর্যন্ত টেক্সি পাওয়া যায়। টেক্সি তে করে ৩০০ ফিট রাস্তার শেষে যেয়ে আবার ট্যাক্সি/ রিক্সা/ অটো তে জিন্দা পার্ক বললেই নিয়ে যাবে। ভাড়া আইডিয়া নাই তবে সব মিলায় জন প্রতি ৫০ টাকার বেশি হবে না।
বহুমাত্রিক.কম