সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন দৈনিক বাংলার সম্পাদক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য সাংবাদিক তোয়াব খান। সোমবার বাদ আসর রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।
এর আগে বাদ আসর গুলশান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তোয়াব খানের তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দৈনিক বাংলা ও নিউজবাংলার কার্যালয়ে তোয়াব খানের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সেখানে সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য `তোয়াব খান স্মৃতি পুরস্কার` চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়।
তোয়াব খানের জানাজা শেষে তার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ সময় তিনি বলেন, তোয়াব খান বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তি সাংবাদিক। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি অসামান্য অবদান রেখেছেন। স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের মাধ্যমে তিনি মুক্তিযুদ্ধের জন্য কাজ করেছেন। পরবর্তী সময়ে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব হিসেবে কাজ করেছেন।
জানাজা শেষে প্রেসক্লাবের টেনিস গ্রাউন্ডের এক অস্থায়ী বেদিতে তোয়াব খানের মরদেহ রাখা হয়। এ সময় ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন ও উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক ও কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক, তোয়াব খানের ছোট ভাই ওবায়দুল কবির খান ছাড়াও জাতীয় প্রেস ক্লাব, প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, বাংলাদেশ সাব-এডিটর কাউন্সিলসহ বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি।
জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে তোয়াব খানের মরদেহ নেয়া হয় গুলশানের আজাদ মসজিদে। সেখানে বিকেল ৪টার দিকে তার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বনানী কবরস্থানে মেয়ে এশা খানের কবরে সমাহিত করা হয় তোয়াব খানকে।