
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের কুরমা চা বাগানে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে দুই কিশোরকে ৮ ঘন্টা একটি গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করার ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে।
নির্যাতিত কিশোর মুন্না পাশির ভাই রাজেশ পাশি বাদি হয়ে বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সদস্য নির্যাতনকারী সাহাদত (৪০)-কে প্রধান আসামী করে মামলা করেন। এ মামলায় আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়। শুক্রবার রাত ১০টায় কমলগঞ্জ থানার পুলিশ পার্শ্ববর্তী চাম্পারায় চা বাগান থেকে প্রদান আসামী সাহাদতকে গ্রেপ্তার করে।
শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত মুন্না পাশি (১৪) ও জগৎ নুনিয়া (১৫) নামের দুই কিশোরকে খুঁটি ও গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করা হয়।
মামলার বাদি রাজেশ পাশি বলেন, শুক্রবার সকাল ৭টায় এ চা বাগানের কম্পাউন্ডার তার ছোট ভাই মুন্না পাশি ও জগৎ পাশিকে চুরির অভিযোগে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যান। পরে পঞ্চায়েত কমিটির সদস্য সাহাদত ধৃত দুই কিশোরকে গাছের সাথে ও খুঁটির সাথে বেঁধে বেদড়কভাবে পেটান। টানা ৮ ঘন্টা তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হয়। বিকাল ৩টায় অবিভাবকদের কাছ থেকে সাদা কাগজে মুচলেখা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। রাজেশ আরও বলেন, চুরি করলে প্রমাণিত হলে আইনানুগভাবে তাদের বিচার হবে। এভাবে চা বাগানে প্রকাশ্যে ৮ ঘন্টা বেঁধে রেখে নির্যাতন করা বর্বরোচিত ঘটনা। তাই তিনি বাদি হয়ে মামলা করেছেন।
মামলায় প্রধান আসামীর নাম দেওয়া হলেও পুলিশি তদন্তে অন্যান্য আসামীদের নাম বেরিয়ে আসবে। চা শ্রমিকরা আরও বলেন প্রধান আসামী সাহাদত গ্রেফতারের পর থেকে এ নির্যাতনে জড়িতরা আত্মগোপনে রয়েছেন।
কুরমা চা বাগান ব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান জানান, স্বতস্ফুর্ত জনতা মোবাইল চুরির অপরাধে দুই শিশুকে আটকে রাখে। তবে পরে অভিভাবকদের জিম্মায় মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান দুই কিশোর নির্যাতনে মামলা ও প্রধান আসামী গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার বেলা ৩টায় আসামীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। তদন্তক্রমে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বহুমাত্রিক.কম